ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে 

আলফ্রেড নোবেল ও লীলা নাগের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
আলফ্রেড নোবেল ও লীলা নাগের জন্ম লীলা নাগ ও আলফ্রেড নোবেল

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

২১ অক্টোবর, ২০১৭, শনিবার। ০৬ কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
•    ১২৯৬ - আলাউদ্দিন খিলজি দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
•    ১৮৫৭ - ব্রিটিশ সরকার কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করে।
•    ১৯৪৩ - নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।
•    ১৯৫০ - চীনা সেনারা তিব্বত দখল করে।


জন্ম
•    ১৫৮১ - দমেনিকো জাম্পিয়েরি, ইতালিয়ান বারোক চিত্রশিল্পী।
•    ১৮৩৩ - আলফ্রেড নোবেল, নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক। তার পুরো নাম আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল। তিনি ছিলেন একাধারে রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা। নোবেলই আবিষ্কার করেন নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ডায়নামাইট, যেটা ভয়াবহতার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর বিস্ফোরক। তিনি ব্যবসায়েও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। বিখ্যাত ইস্পাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোফোর্সের মালিক ছিলেন অনেকদিন, প্রতিষ্ঠানটিকে এক সময় অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডায়নামাইট। মৃত্যুর আগে উইল করে তিনি তার সুবিশাল অর্থ সম্পত্তি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, এই নোবেল ইনস্টিটিউটের কাজ হবে প্রতি বছর বিশ্ববাসীর উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার দেওয়া। ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। আজও তা অব্যাহত রয়েছে।
•    ১৯৬৭ - পল ইন্স, ব্রিটিশ ফুটবলার।
•    ১৯০০ - লীলা নাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। তার বিয়ে পরবর্তী নাম লীলা রায়। তিনি কর্মজীবনে ছিলেন সাংবাদিক, জনহিতৈষী ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় নারী। তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। নারী সমাজে মুখপত্র হিসেবে ‘জয়শ্রী’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন তিনি। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের ফলে তাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়।

মৃত্যু
•    ১৯৭৬ - ফজিলতুন্নেসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী ও ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।
•    ১৯৬৬ - সুধীশ ঘটক, বাঙালি চিত্র পরিচালক ও ক্যামেরাম্যান।
•    ২০১২ - যশ চোপড়া, ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।