ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

খরচ কমাবে চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
খরচ কমাবে চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান  খরচ কমাবে চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান 

ঢাকা: চীনের উদ্ভাবিত পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ২০২০ সালের মধ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণের ব্যাপারে আশাবাদী এর নির্মাতারা। চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (সিএএসসি) জানায়, এ মহাকাশযান একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে এবং তা মহাকাশ গবেষণার খরচ অনেক কমাতে সক্ষম।

চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (সিএএসসি) উপ-ব্যবস্থাপক শেন হংবো বলেন, মহাকাশযানটি চীনের নিজস্ব জনশক্তি ও প্রযুক্তির তৈরি এবং তা বিপুল পরিমাণ কার্গো বহন করতে সক্ষম।  

জানা যায়, মহাকাশযানটিতে স্পেসক্রাফট ও স্পেস শাটল উভয় বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান।

অর্থাৎ, তা একইসঙ্গে পৃথিবী থেকে কার্গো ও নভোচারীদের বহন করতে পারবে এবং মহাকাশকেন্দ্র হিসেবেও কাজ করবে। তাছাড়া উন্নত রকেট ইঞ্জিনের সাহায্যে তা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে।

শেন হংবো আরও বলেন, এ মহাকাশযানটি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ফ্যালকন-নাইনের চেয়ে ভিন্ন। এর প্রথম দুটি অংশ সমান্তরালভাবে অবস্থান করায় দুটি অংশই আবার ব্যবহারের উপযোগী। কিন্তু ফ্যালকন-নাইনের শুধু প্রথম অংশটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য।  

সংস্থাটি জানায়, মহাকাশযানটি ২০ বারেরও বেশি ব্যবহার করা যাবে। এর প্রথম পর্যায়েই উৎক্ষেপণের খরচ ২০ শতাংশ কমে যাবে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে খরচ আরও ১০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশাবাদী।  

চীনের মহাকাশযানটির আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য, এর দু’পাশে পাখা সংযুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং, উড়োজাহাজের মতোই তা সমান্তরালভাবে মাটিতে অবতরণ করতে সক্ষম। রকেট উৎক্ষেপণের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। কিন্তু চীনের মহাকাশযানের ক্ষেত্রে তা একদিনে নেমে আসতে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।