ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ধন-রত্নের রহস্যময় জগতের ১০ জানা-অজানা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
ধন-রত্নের রহস্যময় জগতের ১০ জানা-অজানা কিছু কিছু রত্নের অসাধারণ সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে

ঢাকা: মূল্যবান পাথর ও ধন-রত্নের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরকাল। বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ পাথর বা ক্রিস্টাল কেটে পলিশ করে তৈরি হয় অলংকার। অলংকার ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন নকশা ও ভাস্কর্যে রত্ন বা মূল্যবান পাথর ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কিছু কিছু রত্নের অসাধারণ সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে। আর ধন-রত্নের মালিকানা নিয়ে ইতিহাসে যুদ্ধ-বিগ্রহও কম হয়নি।

জেনে নেওয়া যাক ধন-রত্ন নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু তথ্য।

১. দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টনেরও বেশি খনিজ শিলা থেকে এক আউন্সের মতো সোনা পাওয়া যায়।  

২. রাজা জেমসের অনূদিত বাইবেলে ১৭ হাজারেরও বেশি রত্ন ও দামি পাথরের উল্লেখ রয়েছে।

৩. ব্যক্তিগত মালিকানায় সবচেয়ে বেশি সোনার মজুদ ভারতে। ভারতীয়রা পারিবারিকভাবে সংরক্ষণ করেন এসব সোনা। সেদেশে সোনা ব্যক্তিগত মজুদের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার টন।  

৪. মধ্যযুগীয় আলকেমিস্ট বা অপরসায়নবিদরা সাধারণ ধাতু বা সীসাকে সোনায় রূপান্তরের চেষ্টা করতেন। একাজে নিজেকে সফল বলেও দাবি করেন অনেকে। এমনটা করা আসলেই সম্ভব হলে তা হতো বিজ্ঞানের জন্য একটি সাফল্য ও অর্থনীতির জন্য ব্যর্থতা। অতিরিক্ত সোনা সরবরাহের জন্য এর মূল্য অনেক কমে যেত।

৫. বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন আলকেমিস্টদের গবেষণায় প্রভাবিত হয়ে সাধারণ ধাতুকে সোনায় রূপান্তর করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি ‘ফিলোসফারস স্টোন’ নামে একপ্রকার অদ্ভুত ক্ষমতাধারী পাথরের খোঁজে অনেক সময় ও প্রচেষ্টা ব্যয় করেন।

৬. সোনা এতোই নমনীয় যে, মাত্র এক আউন্স সোনাকে টেনে ৫০ মাইল লম্বা একটা সূক্ষ্ম তারে পরিণত করা যায়।

৭. ঐতিহাসিকদের মতে, এককভাবে সবচেয়ে বেশি সোনার মালিক ছিলেন টিম্বাকটুর রাজা মানসা মুসা (১৩১২-৩৭)। পশ্চিম আফ্রিকার এই টিম্বাকটু ছিল তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী রাজ্য। মুসা হজ করতে মক্কা যাওয়ার পথে এক অস্বাভাবিক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ভ্রমণপথে তিনি কায়রোতে এতো বেশি সোনা ব্যয় করেন যে সেখানকার সোনার মূল্য অস্বাভাবিক কমে যায় এবং অর্থনৈতিক ধস নামে।

৮. পৃথিবীর প্রতি আউন্স সোনা পাওয়ার জন্য শ্রমিকরা আড়াই মাইল পর্যন্ত খনন করেছেন।

৯. ১৯৩২ সালে ফ্রান্সিস্কো পিজারোর পেরু অভিযানের সময় স্প্যানিশ সৈন্যরা বড় বড় পান্না খুঁজে পায়। এসব এক একটি পান্নার আকৃতি ছিল কবুতরের ডিমের সমান। তখন মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ছিল যে আসল পান্না কখনো ভাঙা যায় না। তাই পান্নাগুলো আসল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য সৈন্যরা সেগুলোতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। কিন্তু পান্নাগুলো ভেঙে যাওয়ায় তারা মনে করলো, এগুলো কেবলই রঙিন পাথর।  

১০. সাগরে ছড়িয়ে থাকা সোনার পরিমাণ প্রায় ৯০ লাখ টন। মানবজাতির ইতিহাসে খনি থেকে যে পরিমাণ স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়েছে তার প্রায় ১৮০ গুণ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।