ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ২৯ পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭০৯: প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দ্রাবাদ দখল করেন।
১৮৪৮: হাডসন বে কোম্পানি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যানকুই-ভার দ্বীপ দখল করে।
১৯১৯: ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হন এবং পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন।
১৯৭২: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।

১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিনই তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে এক আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন। এ আদেশের ফলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। ১২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ২৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন। অন্যদের মধ্যে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শিল্প, তাজউদ্দীন আহমদকে অর্থ, খন্দকার মোশতাক আহমদকে পররাষ্ট্র এবং ড. কামাল হোসেনকে এ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ১৩ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ মুজিবুর রহমান।

জন্ম
১৮৬৪: জার্মান পদার্থবিদ ভিলহেল্ম ভিন।
১৮৮৯: ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রাবন্ধিক নলিনীকান্ত গুপ্ত।

তিনি ১৯৫৩ সালের ১৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার লেখার বিষয়বস্তু লোকসাহিত্য, উনিশ শতকের কবি-সাহিত্যিক, আধুনিক সাহিত্য এবং ইতিহাস। লালন, কাঙাল হরিনাথ, মীর মশাররফ হোসেন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে তিনি বিশদ গবেষণা করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত লোকসাহিত্য গবেষণা বিষয়ক সাহিত্য পত্রিকা ‘লোকসাহিত্য পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন। গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৫৩: বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ আবুল আহসান চৌধুরী।
১৯৮৩: ভারতীয় অভিনেতা ইমরান খান।

মৃত্যু
১৫৯৯: ব্রিটিশ কবি এডমান্ড স্পেন্সার।

১৫৫২ সালে লন্ডনে তার জন্ম। আধুনিক ইংরেজি কবিতার সূচনালগ্নের অন্যতম শিল্পী যাদের বলা হয়, তাদের মধ্যে এডমান্ড স্পেন্সার অন্যতম। একইসঙ্গে ইংরেজিভাষী শ্রেষ্ঠ কবিদের তালিকায় তার নাম উঠে আসে। স্পেন্সারকে বলা হতো কবিদের কবি। ‘দ্য ফেয়ারি কুইন’ তার অনবদ্য রচনা। এটি একটি অসম্পূর্ণ ইংরেজি মহাকাব্য। এটিই ছিলো প্রথম সাহিত্যকর্ম যেটি স্পেন্সরীয় স্তবকে লেখা হয়েছিল এবং ইংরেজি ভাষার অন্যতম দীর্ঘ কবিতা। ১৫৯৯ সালের ১৩ জানুয়ারি লন্ডনে কবি এডমান্ড স্পেন্সার পরলোকগমন করেন।

১৯০৭: স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।

১৮৩৪ খুলনার সেনহাটিতে তার জন্ম। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার পক্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মূলত কীর্তিপাশার জমিদারের অর্থানুকূল্যে তিনি জীবনযাপন করেন। তার প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ‘সদ্ভাব শতক’ (ঢাকা, ১৮৬১)। বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক, যা সুফি এবং হাফিজের ফার্সি কবিতার অনুসরণে রচিত।

তার ছদ্মনাম ছিল রামচন্দ্র দাস, সংক্ষেপে রাম। তাই পরিণত বয়সে তিনি রামের ইতিবৃত্ত (১৮৬৮) নামে একটি আত্মচরিত রচনা করেন। মহাভারতের ‘বাসব-নহুষ-সংবাদ’ অবলম্বনে রচিত তার আরেকটি গ্রন্থ হলো মোহভোগ (১৮৭১)। কৈবল্যতত্ত্ব (১৮৮৩) নামে তিনি একটি দর্শনবিষয়ক গ্রন্থ লেখেন। নাটক রাবণবধ মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তার অপ্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পনেরো। কবির রচনা প্রসাদগুণসম্পন্ন এবং তার কবিতার অনেক চরণ প্রবাদবাক্যস্বরূপ, যেমন: ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে’ ইত্যাদি।

১৯৪১: আইরিশ কথাসাহিত্যিক জেমস জয়েস।
১৯৯৬: ফরাসি নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা দেনিজ গ্রে।
১৯৯৮: বাঙালি নজরুলগীতি ও উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী বেদারউদ্দিন আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।