ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ‘ছবি মেলা’ শুরু

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ‘ছবি মেলা’ শুরু

ঢাকা: করোনা পরবর্তী বিশেষ অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে শুরু হলো আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ‘ছবি মেলা’। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে করোনাকালে নতুনভাবে ছোট পরিসরে বহুমাত্রিক চর্চার সমন্বয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শুক্রাবাদে দৃকপাঠ ভবনে ছবি মেলার প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, উৎসবের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব, নির্বাহী পরিচালক এএসএম রেজাউর রহমান ও কিউরেটর সরকার প্রতীক এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

উৎসবে আগত অতিথিরা বলেন, এবার করোনার কারণে অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি মেলায় অংশ নিতে পারছেন না। একইসঙ্গে সশরীরে দেশীয় দর্শকের উপস্থিতিও থাকছে সীমিত। ডিজিটাল উপায়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনী ও অন্যান্য অনলাইন আয়োজন।

তারা বলেন, মহামারিকালে ছবি মেলার আয়োজকরা নিজেদের কাজকে নতুন করে পর্যালোচনা করতে চেয়েছেন। শুরু করতে চেয়েছেন শূন্য থেকে এবং ফিরে যেতে চেয়েছেন অতীতে। বুঝতে চেয়েছেন, বর্তমান এবং করোনা মহামারির এই কালকে। বুঝতে চেয়েছেন সীমাহীন জীবন ও জীবিকা হারানোর এই দুঃসময়ে ছবি মেলার প্রাসঙ্গিকতাকে। প্রশ্ন তুলতে চেয়েছেন, এই মহামারির সময় শিল্পর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে।


করোনাকালে নতুন বাস্তবতায় এবার কেবল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট ৫টি দেশের শিল্পীদের কাজ স্থান পেয়েছে ছবি মেলায়। সব মিলিয়ে ৭৫ জন শিল্পীর কাজ নিয়ে মোট ৮টি প্রকল্পে সাজানো হয়েছে এবারের ছবি মেলা। এগুলো হলো—লিমিটস, দ্য রেবেল উইথ আ স্মাইল, উইশিং ট্রি, ছবি মেলা ফেলোশিপ ২০২১, ফ্রোজেন সং, ক্রসরোডস কালেক্টিভস ইন্টারভেনশন, বাবা বেতার এবং ছাপাখানা আর্কাইভ। এছাড়া মেলা উপলক্ষে দৃকপাঠ ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর, ছাদ, সিঁড়িসহ নানা স্থানের বৈচিত্র্যময় ব্যবহার করা হয়েছে।

এবারের ছবি মেলা কেবল আলোকচিত্র নয়, বহুমাত্রিক মাধ্যমের শিল্পীদের কাজে হয়েছে বৈচিত্র্যময়। আলোকচিত্রের পাশাপাশি, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র, ইনস্টলেশন, ভাস্কর্য, ভিডিও সাউন্ড, প্যানেল আলোচনা, গানের অনুষ্ঠান, অডিও বেতার সম্প্রচার, অ্যানিমেশন, অস্থায়ী স্টুডিওসহ নানা মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে। ফলে খুব সহজেই শিল্পীদের পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণে তৈরি হওয়া এই কাজগুলোর মধ্যে সংহতি, বোঝাপড়া, ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের ছাপ খুঁজে পাবেন দর্শকরা।

উৎসবের অংশ হিসেবে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে উদযাপিত হবে ‘দৃক দিবস’। এদিন দৃকের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা, ঐতিহাসিক আর্কাইভাল প্রিন্ট, ক্যালেন্ডার ও অন্যান্য স্মারক দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শিত হবে। দশ দিনব্যাপী ছবি মেলা চলবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।