ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

যেমন ছিলো ঈদের দ্বিতীয় দিনের রাজধানী

ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২১
যেমন ছিলো ঈদের দ্বিতীয় দিনের রাজধানী ফাঁকা রাজধানী। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: এক মাস সিয়াম সাধনার পর গতকাল শুক্রবার (১৪ মে) উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ি গিয়েছে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে।

যাওয়ার পথে শত ভোগান্তি থাকলেও চোখে-মুখে ছিলো পরিবারের সদস্যদের কাছে পাওয়ার আনন্দ।  

ঈদ উপলক্ষে এবার ঢাকা ছেড়েছে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। এ কারণে ব্যস্ত রাজধানীর চিত্র ছিল প্রায় ফাঁকা।  

শনিবার (১৫ মে) ঈদের পরের দিন কেমন ছিলো রাজধানী। কয়েকটি এলাকা ঘুরে তুলে আনা হয়েছে সেসব চিত্র।

রাজধানীর শাহবাগ, ধানমন্ডি, তেজগাঁও, কাকলী সড়কগুলোতে দুপুর পর্যন্ত গাড়ি চলাচল ছিলো খুবই কম।

অন্যান্য গাড়ি কম থাকলেও গণপরিবহন চলাচল ছিলো গত দুই দিনের চেয়ে একটু বেশি। রামপুরা, মগবাজারের বাসগুলো ছিলো খুবই বেপরোয়া। রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ডাকতে ব্যস্ত দেখা গেছে তাদের।

প্রচণ্ড তাপদাহ, রাস্তায় তেমন লোকজন চলাচল করেছে না। তাই গাছে ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন এক রিকশাচালক।

আজও রাজধানীর মসজিদ কিংবা রাস্তাগুলোতে ভিক্ষুকের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। কেউ দান করতে এলে সবাই মিলে কাড়াকাড়ি শুরু করে।

দুপুর গড়াতেই পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই ঘুরতে চলে আসেন রাজধানীর চন্দ্রীমা উদ্যানে।  

উত্তরা থেকে ঘুরতে আসা সাইফুল জানান, করোনার কারণে পরিবারের লোকজন ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছে। তাই মনটাকে ফ্রেশ করতে পরিবারের সবাই মিলে এখানে আসা।

বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় চন্দ্রিমা উদ্যান, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি লেকে ছিলো মানুষের ভিড়।

কেউ কেউ ধানমন্ডি লেক ও হাতিরঝিলে নৌকায় চড়ায় ছিলো ব্যস্ত।

ঘুরতে আসা মানুষদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিটি উদ্যানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

করোনার মাঝেও পরিবারের সঙ্গে হাসি, আনন্দে কেটেছে ঈদের দিন। রোববার থেকে চালু হবে অফিস আদলত। ঈদের তিন দিনের এই ছুটি হয়তো কাজের প্রতি সবার স্পৃহা ও দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দেবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২১
ডিএইচবি/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।