ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

নবান্ন উৎসবে মাতোয়ারা রাজধানীবাসী

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
নবান্ন উৎসবে মাতোয়ারা রাজধানীবাসী ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: ‘নবান্ন’ ঋতুকেন্দ্রিক একটি উৎসব। এই শব্দের অর্থ  নতুন অন্ন।

অগ্রহায়ণ মাসে হেমন্তের নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় এ উৎসব পালন করা হয়। তাই নবান্ন মানেই আনন্দ। নতুন ধানের হরেক পিঠা খাওয়ার ধুম।

ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

বলা হয়, শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রভাবে ম্লান হয়ে যেতে বসেছে আবহমান বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব। তবে গ্রামবাংলার সরল জীবনও কি আগের মতো আছে? উত্তর যাই হোক, নাগরিক জীবনে নবান্নের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে অগ্রহায়ণের প্রথমদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় উৎসবটি।

ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

এবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় নবান্ন উৎসব-১৪২৮। গত কয়েক বছর করোনা মহামারীর কারণে সীমিত পরিসরে উৎসবটি আয়োজন করা হয়েছিল। জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে এবার তা পালন করা হয় মহা ধুমধামে।

ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

মঙ্গলবার সকাল থেকেই নাচে-গানে ভরপুর ছিল শিল্পকলা মাঠ। আগতদের বিতরণ করা হয় নতুন চালের খই, মুড়ি, চিড়া, মুড়ির মোয়া। মাটির চুলায় গরম গরম ভাপা পিঠা বানাতে ব্যস্ত ছিল কারিগররা। নানা রকমের পিঠা খেতে তাদের স্টলের সামনে ক্রেতাদের লাইন লেগে যায়। এ সময় ছিল বৃন্দ সঙ্গীত পরিবেশনা। অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরার উপস্থিতি। ছিল নৃত্য পরিবেশনাও।

গরম গরম পিঠা খেতে ক্রেতাদের ভিড়।

নবান্নে নতুন চালের তৈরি পায়েস-পোলাও, পিঠা-পুলিসহ রকমারি খাদ্যসামগ্রী পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়। নতুন ফসলের ঘ্রাণে কৃষকের মুখের রেখায় ফুটে ওঠে খুশির ঝিলিক। এর মধ্যেই পালন করা হয় প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী আচার অনুষ্ঠান। নতুন ফসল ঘরে ওঠার পর সব শ্রেণির ধর্মাবলম্বীরা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
ডিএইচবি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।