ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

মুক্তির পঞ্চাশ, জনকের শতবর্ষে প্রাণোচ্ছল দিন 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
মুক্তির পঞ্চাশ, জনকের শতবর্ষে প্রাণোচ্ছল দিন  জাতীয় পতাকা হাতে একজন ক্রিকেটপ্রেমী। ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: বাঙালির বাংলাদেশের বিজয়ের অর্ধ শতক অর্থাৎ পঞ্চাশ বছর। এই পাঁচ দশক পূর্তিতে বিজয় উৎসবে মেতেছিল গোটা জাতি।

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে মুজিববর্ষে প্রাণোচ্ছল ছিল বাংলার আকাশ-বাতাস। বিজয়ের পঞ্চাশ এবং স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজন দেশের সর্বত্রই ছিল মনোমুগ্ধকর।  সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধার ফুলে ভরে যায় স্মৃতির এই মিনার। জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মানুষ। ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব বধ্যভূমি কিংবা স্মৃতির মিনারেও ফুল দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধা জানান মানুষ। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র-শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিকসহ মুক্তিকামী সব মানুষ। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ফুলে ফুলে স্মৃতির মিনারের বেদি পূর্ণ হয়। সূর্যোদয়ের পর থেকে সকালে মিনারগুলোয় ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজাসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় বিজয়ের উৎসবে মেতে ছিলেন মানুষ। এসবের মধ্যে বিজয় মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন ছিল। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সোনার বাংলা গড়ার শপথ করান। তার সেই শপথ লাইভ প্রচার করা হলে অংশ নেন গোটা জাতি।  সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি রাজধানীর পাড়া-মহল্লাগুলোয় ফুটবল, ব্যাড মিন্টন, ভলিবল খেলার পাশাপাশি আয়োজন দেখা গেছে। পুরান ঢাকার ধোলাইখাল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় ছোটদের ফুটবল প্রতিযোগিতায় মেতে থাকতে দেখা যায় সবাইকে। সন্ধ্যায় রামপুরা, বাড্ডা, বংশাল, রায় সাহেববাজার, ওয়ারী এলাকায় আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিল। বিজয় উৎসবের দিনে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ভরেছিল শিশু, যুবক এবং বয়োবৃদ্ধদের পদচারণায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি হাতিরঝিলেও ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বিজয়ের রং লাল-সবুজের জামা পরে এসেছিলেন মানুষ। শিশুদের কপাল ও হাতে ছিল জাতীয় পতার রঙের ব্যান্ড, রঙের আলপনা।  বিজয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে উঠে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অলিগলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। রংবেরঙের আলোয় ছবি তুলে বিজয়ের পঞ্চাশ এবং জনকের জন্মশতবার্ষিকী ফ্রেমবন্দি করে রাখেন অনেকেই। সব মিলিয়ে দিন ছিল প্রাণোচ্ছল এবং আগামীর উদ্দীপনার।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।