ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

ঢাকা: বাংলাদেশের ঋতুভেদে চলছে শীতকাল। তাই শীতকালীন সবজির চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কনকনে শীত উপেক্ষা করে সবজি ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা। ভোর থেকে সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। ক্ষেত থেকে তুলছেন মুলা, লালশাক, পুঁইশাকসহ নানা রকমের সবজি।  

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায় রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভোর থেকেই সবজি ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন খলিল। অন্যের জায়গা ভাড়া নিয়ে তিনি সবজি চাষ করেন। এ জমিতে লালশাক, পালং শাক, মটরশুটি, লাউশাক, পুঁইশাক ফলান তিনি। গত বছর শীত মৌসুমে সবজি বিক্রি করে আয় করেন প্রায় দুই লাখ টাকা। এ বছরও আরও বেশি লাভের আশায় রয়েছেন খলিল।

খলিলের মতো অন্য জমিতে চাষ করছেন নুরুন্নবী। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভোর থেকেই জমি থেকে সবজি তুলছেন তিনি। নুরুন্নবী জানান, রাত আটটার সময় পাইকাররা খেতে চলে আসবে তাই বাপ-ছেলে মিলে সবজি তুলছি। যাতে রাতে পাইকারদের সবজি দিতে পারি। এছাড়াও ক্ষেত থেকে টাটকা সবজি কিনতে বিকেলে অনেকেই ভিড় করেন।

শীত মৌসুমে রাজধানীর অনেক বাড়ির ছাদ বাগানে সবজি ফলন করে অনেকে। এছাড়া গ্রামের বাড়ির আঙিনায় মাচা তৈরি করে অনেকেই সবজি ফলান।

এছাড়া শীতকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাষ করা হয় শীতের সবজি। এসব সবজিগুলোই বেশি দামে কিনতে হয় রাজধানীবাসীকে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী আড়তে ভোরে বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে করে সবজি আসে। আড়ত থেকে সবজি কিনে নেন পাইকাররা। তাদের কাছ থেকে সবজি কিনে খুচরায় বিক্রি করা রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়। সরেজমিনে, রূপগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, লাল শাক, মুলাশাক, পালং শাক, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি চাষে দিনভর মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কেউ কেউ সবজি চাষ করে বড় হওয়ার আগেই তা আশ-পাশের বাজারেও বিক্রি করে দেন। অধিক লাভের আশায় কেউ কেউ একই জমিতে ২ থেকে ৩ বার ফসল ফলান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।