ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

১০ টাকার চিতই পিঠায় ৩০ রকমের ভর্তা ফ্রি

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২২
১০ টাকার চিতই পিঠায় ৩০ রকমের ভর্তা ফ্রি মামুনের পিঠার দোকান

ঢাকা: শীতে রাজধানীর ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে। এবারও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।

সন্ধ্যার পর থেকেই এসব পিঠার দোকানে ভিড় করছেন পিঠা প্রেমীরা। ফুটপাতে যে কয়েক রকমের পিঠা বিক্রি হয় তার মধ্যে চিতই অন্যতম।

রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজের নিচে পিঠা বিক্রি করেন মামুন। তিনি বলেন, আমরা দুই ভাই মিলে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে দোকান সাজাই এবং সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের সমাগমে জমজমাট হয়। আমি ও আমার ভাই মিলে প্রতিদিন এখানে পিঠা বিক্রি করি। আমাদের ইমামগঞ্জে আরেকটি দোকান রয়েছে। সেখানে আমার বাবা পিঠা বিক্রি করেন। দুই দোকানে মিলে প্রতিদিন প্রায় ৬২ কেজি চাল দিয়ে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি।  

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি চিতই পিঠা ১০ টাকা দরে বিক্রি করি তার সঙ্গে ৩০ পদের ভর্তা ফ্রি দেই। যার যে রকম পছন্দ সে রকম ভর্তা দিয়ে পিঠা খেয়ে থাকেন। ভর্তার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয় না। বিভিন্ন পদের ভর্তা খাওয়ার জন্যই মানুষ এখানে ভিড় করেন। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি। আমরা পিঠার সঙ্গে ফ্রি দিচ্ছি, শুঁটকি ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা, কালিজিরা ভর্তা, মরিচ ভর্তা, আলু ভর্তা, পেঁয়াজ ভর্তা, বেগুন ভর্তা, শিম ভর্তা, নোনা ইলিশ ভর্তা, চিংড়ি মাছ ভর্তা, বাদাম ভর্তা ইত্যাদি।

৩০ রকমের ভর্তা দিয়ে পিঠা খেতে মানুষ সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় করেন মামুনের পিঠার দোকানে। আবার অনেককে এই দোকান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা নিয়ে যেতে দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মামুনের পিঠার দোকানে পিঠা খেতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দিনই এখানে পিঠা খেতে আসি। মামুনের দোকানে ৩০ পদের ভর্তা দিয়ে পিঠা খাওয়া যায়। তাইতো মনে হয় বাড়িতে বানানো পিঠাই খাচ্ছি।

স্থানীয় দিনমজুর হাফিজ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যা হলেই এখানে পিঠা খাওয়ার জন্য চলে আসি। বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে পিঠা খাই। বেশ ভালো লাগে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর ফুটপাতে পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে কিছু ভালোমানের এবং কিছু নিম্নমানের রয়েছে। মূল সড়কের পাশেই ফুটপাতে পিঠা তৈরির সময় অনেক সময় ধুলোবালি মিশে যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা, ফুল পিঠা, তালের পিঠা, মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, পাটিসাপটা, চিতই পিঠা, চুটকি পিঠা, পাকন পিঠা, গুরা পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, রস পিঠাসহ আরও হরেক রকমের পিঠা রয়েছে। শীতকালেই পিঠার উৎসব শুরু হয়। এ সময় ঘরে ঘরে নানা রকম পিঠা তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২২
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।