ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ভয়ে ফুল ব্যবসায়ীরা

ডিএইচ বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ভয়ে ফুল ব্যবসায়ীরা করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ভয়ে ফুল ব্যবসায়ীরা

বছর শুরুর কয়েক মাস ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার মৌসুম। ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য সুদিন বলা চলে।

কিন্তু গত দু’বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের।

গত বছরের শেষের দিকে মৃত্যু ও শনাক্ত কমলেও এ বছর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে পুনরায় তীব্র হয়ে উঠছে মহামারি করোনা। এবারও কি তাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে? এমন ভয়, দুশ্চিন্তা ও হতাশায় কাটছে ফুল ব্যবসায়ীদের দিন।

রাজধানীর শাহবাগ, নিউমার্কেট, পোস্তগোলা ফুলের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ দোকান ক্রেতাশূন্য। গল্প আর আড্ডায় অলস সময় পার করছে দোকানিরা।

চলছে ফেব্রুয়ারি মাস। হঠাৎ করেই করোনা প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় একুশে বইমেলাও বন্ধ। কিন্তু নানা রঙের গোলাপ, গাঁদা, অপরাজিতা, অতিথি, সানফ্লাওয়ার, কাশফুল, স্টার, রেডরোজ, হেভেনস, সিলসিলাসহ বাহারি রকমের ফুল দিয়ে সাজানো দোকানগুলো।

রাজধানীর শাহবাগ ফুলের দোকানগুলোতে নেই বিক্রি। অন্যান্য বছর বইমেলা হলেই সব বয়সের মেয়েরা ফুলের দোকানে এসে ভিড় করতেন। চলতো বিকিকিনি।

এ মাসেই রয়েছে ভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি। ফুলের ব্যবসায়ীরা ফুল চাষিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতেও ভয় পাচ্ছেন। কারণ করোনা বৃদ্ধির ফলে যদি দেশ লকডাউনে পড়ে, তাহলে তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতো বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজনও তেমন নেই। তাই ফুলের চাহিদাও কম।

কয়েকটি দোকানে ক্রেতার উপস্থিত থাকলেও দোকানিদের চোখে মুখে উদ্বেগ, হতাশা আর অজানা শঙ্কা। করোনা মহামারির আগে এ সময়টাতে দম ফেলার ফুরসত মিলতো না তাদের।

এছাড়া প্লাস্টিকের ফুল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের। কমদামি প্লাস্টিক ফুল ও আমদানি করা রকমারি বিদেশি ফুলের দখলে যাচ্ছে দেশি ফুলের বাজার। প্রায় বিয়ে-শাদী কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠানে ফুলের বদলে প্লাস্টিক ফুল ব্যবহার করা হয়। এতে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধস নেমেছে।

ফুলবাহার পুষ্প কেন্দ্রের কর্ণধার সাদেক বলেন, বইমেলা, একুশে ফেব্রুয়ারিসহ বছরে ৭/৮ বিশেষ দিনে ফুলের চাহিদা বেশি থাকতো। এরপর বিয়ে-শাদি, সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল বিক্রি হতো সারাবছর। করোনা সব শেষ করে দিয়েছে।

ফাতেমা পুষ্পালয়ের মালিক রাকিব বলেন, ফুল হলো শখের জিনিস। একটি পচনশীল পণ্য। গতকয়েক বছর লকডাউনে ফুলের দোকান বন্ধ থাকায় কোটি টাকার ফুল নষ্ট হয়েছে। এখন আবার করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগামী ‘বিশেষ’ দিনগুলোর জন্য ফুল আমাদনি করে রাখতে ভয় পাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।