এই মৌসুমেই শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র থেকে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন মোহাম্মদ জুয়েল। তবে ক্লাবে যোগদান নিয়ে নিয়মিতই অনিয়ম করে চলছেন তিনি।
কাউকে কিছু না জানিয়েই ক্যাম্প থেকে চলে গেছেন জুয়েল। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। এমনকি শেখ জামালের হয়ে কোনো ম্যাচও খেলা হয়নি তার।
একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গ করে ক্লাব ছেড়েছেন জুয়েল, এমন অভিযোগ তুলেছে শেখ জামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যে কারণে তাকে তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এরপরও ক্লাবে ফিরে আসেননি তিনি। অবশ্য ইতিমধ্যে চুক্তির অর্ধেকের বেশি পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জুয়েলকে। এমনটাই জানানো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
ক্লাবের ম্যানেজার ফারাজ হোসেন বলেন, ‘সে (জুয়েল) নানা অনিয়ম করেছে। যেটা একজন পেশাদার ফুটবলারের আচরণ হতে পারে না। কোচ, ম্যানেজারের অনুমতি ছাড়াই ক্লাব ছেড়ে চলে যায় সে। এমনকি ঠিকমত অনুশীলনও করেনি। তার এমন আচরণে ক্লাবের কোচিং স্টাফ, অফিশিয়ালরা হতাশ। একজন ফুটবলার কখনোও এমন আচরণ করতে পারে না। তাকে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। ’
তার কাছে তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফারাজ বলেন, ‘তিনবার কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছি। তাতেও তেমন সাড়া দেয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। ’
গত অক্টোবরে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে যোগ দিলেও মাত্র সপ্তাহখানেক অনুশীলনের পর চোট পান জুয়েল। ক্লাবের চিকিৎসকের কাছে দুই দিন সেবা নিয়ে ক্লাবসংশ্লিষ্টদের অগোচরেই নিজ বাসায় ফিরে যান তিনি। এর কিছুদিন পর ক্যাম্পে ফিরে এলেও কারণে-অকারণে বিনা অনুমতিতেই ক্লাব ছেড়ে গেছেন জুয়েল। এ কারণে গত বছরের ৮ নভেম্বর তাকে প্রথম কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই চিঠির উত্তরে ক্ষমা চেয়ে ক্লাবে ফিরলেও আবারও অনিয়ম করেন তিনি।
২৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর না পাওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি তৃতীয় এবং চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এআর/আরইউ