ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকরি গেল পরিচ্ছন্নতাকর্মীর

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকরি গেল পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংগৃহীত ছবি

লিওনেল মেসিকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছে চেপে রাখা মোটেই সহজ নয়। আর যদি তাঁর অটোগ্রাফ শিকার করা যায়, তাহলে তো কথাই নেই! ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন এক যুবক।

কিন্তু পেশায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী এই যুবক এ কারণে চাকরিটাই খুইয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া যুবকের নাম ক্রিস্তিয়ান সালামাংকা। কলম্বিয়ান বংশোদ্ভূত এই যুবক পরিবারের সঙ্গে দেড় বছর ধরে মায়ামিতে থাকেন। ফুটবলপ্রেমী এই যুবক চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যারা মূলত বিভিন্ন স্পোর্টিং ইভেন্ট এবং কনসার্ট শেষে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করে। মেসির বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামি তাদের এই দায়িত্ব দিয়েছিল দলের সর্বশেষ ম্যাচে। ম্যাচটির ভেন্যু ছিল ক্লাবের নিজস্ব মাঠ ড্রাইভ পিঙ্ক স্টেডিয়াম।

গতকাল লিগ কাপের ম্যাচে অরলান্ডো সিটির মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন মেসি। ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতে লিগ কাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করে তাঁর দল। দলটির টিম বাস যেখানে রাখা ছিল, তার পাশেই পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন সালামাংকা। প্রথমবারের মতো ইন্টার মায়ামিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েই মেসির সাক্ষাৎ পেয়ে যান তিনি। প্রিয় ফুটবলারের উদ্দেশে প্রশংসাসূচক বাক্য বলার পর চেয়ে বসেন অটোগ্রাফ। হাসিমুখে তার আবদার মেটান মেসি। কিন্তু এরপর যা হয়েছে তা হয়তো কোনোদিনই ভুলবেন না সালামাংকা। কারণ চাকরিটাই যে গেল তার!

নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালামাংকা বলেন, "টিম বাসগুলো যে সেক্টরে রাখা ছিল, সেখানকার টয়লেট পরিষ্কার করার দায়িত্বে ছিলাম আমি। আমার ভাগ্য ভালো যে, বাসগুলো থেকে খেলোয়াড়রা যখন নামছিলেন, তখন সেখানে ছিলাম। সবার শেষ নামেন মেসি। আমি তখন চিৎকার করে বলেছিলাম, 'হে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন'। এটা শুনে তিনি আমার দিকে ফিরে তাকান। আমি আমার ইউনিফর্ম তুলে আর্জেন্টিনার জার্সি বের করি এবং তিনি অটোগ্রাফ দেন। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা এলেন এবং আমাকে সেখান থেকে বের করে এনে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করে দিলেন। তবে আমি প্রতিটা সেকেন্ড উপভোগ করেছি। "

সাধারণত ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার আগে সব নিয়মকানুন বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে খেলোয়াড় ও স্টাফদের কোনো প্রকার বিরক্ত করা; যেমন ছবি তোলা কিংবা অটোগ্রাফ নেওয়ার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কিন্তু বিশ্বসেরা ফুটবলারের প্রতি সমর্থকদের আবেগকে খাঁচায় বন্দি করা প্রায় অসম্ভব। যে কারণে গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় এক বছরের সমান জার্সি বিক্রি করেছে ইন্টার মায়ামি। এমনকি ক্লাবটির পরবর্তী ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ১৮ মিনিটেই!

তথ্যসূত্র-মার্কা

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।