ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল গত ১৫ অক্টোবর। কিন্তু ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে বদলে যায় সূচি।
২০২০ সালে ইসরায়েল কসোভাকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। তবে ম্যাচটির নিরাপত্তার জন্য বেশ কঠোর হতে হয় কসোভা পুলিশকে। কেননা কসোভার শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি জনগণ মুসলিম। তাদের অনেকেই ফিলিস্তিনির সমর্থক। তাই ইসরায়েল ফুটবল দলকে কসোভায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার আবেদন জানান তারা।
যদিও সেই আবেদন রাখা হয়নি। তবে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলকে দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন কসোভা সমর্থকরা। ম্যাচের ৪১ মিনিটে মিলোত রাশিকার জয়সূচক গোলের ফেটে পড়েন উল্লাসে। স্বাগতিকরা ব্যবধান দ্বিগুণ করার চেষ্টা করলেও বাধা হয়ে দাঁড়ান ইসরায়েলি গোলরক্ষক ওমরি গ্লাজের।
হারের পর স্বভাবতই উঠে আসে যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ইসরায়েল কোচ আলোন হাজান বলেন, 'আমাদের দেশ ফুটবলের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যুদ্ধ থেকে নিজেদের আলাদা করতে পারি না। তবে আমাদের ফুটবল খেলতে হবে এবং নিজেদের দেশকে খুব ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই আমরা। '
১৯৯৪ সালে উয়েফার পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার প্রথমবার ইউরো খেলার স্বপ্ন দেখছে ইসরায়েল। তবে কসোভার কাছে হারের পর রাস্তাটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ালো তাদের জন্য। বাছাইপর্বের আই গ্রুপে ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সুইজারল্যান্ড ও এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে কসোভা। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এএইচএস