ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

আবাহনীকে গুঁড়িয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে কিংস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
আবাহনীকে গুঁড়িয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে কিংস

স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালের জমজমাট লড়াইয়ে আবাহনীকে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। গোলশূন্য প্রথামার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে পাত্তাই পায়নি আবাহনী।

 

টানা চতুর্থ স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে নাম লেখালো আসরের বসুন্ধরা কিংস। নিজেদের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু থেকে আবাহনীর বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কিংসকে চমকে দিয়ে দারুণ এক আক্রমণ আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াশিংটন সান্তোসের। বিশ্বনাথ ঘোষের পা থেকে বল কেড়ে বাঁ প্রান্ত ধরে ডান পোস্টে শট নেন তিনি, অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেই শট। আট মিনিটে জোনাথন ফার্নান্দেজের শট আটকে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক শ্রাবণ।  

বসুন্ধরা প্রথম আক্রমণ করে ১০ মিনিটে। মিগেল দামাসেনার শট ঠেকান আবাহনী গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। একই মিনিটে রবসন রবিনহোর চিপও ফিস্ট করে ফেরান তিনি।
২১ মিনিটে কিংসের নিশ্চিত গোল ঠেকান জোনাথন ফার্নান্দেজ। মাঝমাঠ থেকে আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের ভুলে একা বল পেয়ে যান শেখ মোরসালিন, হার মানান আবাহনী গোলরক্ষককেও। মোরসালিনের নেওয়া শট জালে জড়ানোর আগে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান কিংসেরই সাবেক মিডফিল্ডার জোনাথন। এরপর দুই দলই একাধিক আক্রমণে গেলেও প্রথামার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনও দলই।  

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় বসুন্ধরা কিংস। বদলে যাওয়া এক দলের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছিল না আবাহনী। ম্যাচে এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি স্বাগতিকদের। ৪৮ মিনিটেই সোহেল রানার গোলে এগিয়ে যায় কিংস। মাঝ মাঠে বল পান সোহেল রানা। কিছুটা এগিয়ে পাস দেন মিগেল দামাসানাকে। ফিরতি পাসে বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি সোহেল রানা।  

 ৫৩ মিনিটে রাকিবের জোগান দেওয়া বলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দরিয়েলতন গোমেজ। বক্সের বাইরে আবাহনীর ভুল পাস থেকে বল পান রাকিব। আবাহনীর দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে ফার পোস্টে শট নেন রাকিব, সেখান থেকে পা ছুঁইয়ে ব্যাবধান দ্বিগুণ করেন দরিয়েলতন।  

৭৭ মিনিটে গোছানো আক্রমণ থেকে ব্যাবধান ৩-০তে নিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে সাদ উদ্দিনের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মিগেল দামাসেনা।  

৮৬ মিনিটে বক্সের ভেতর রবসনকে বাজে ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি দলের অধিনায়ক। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকারও রেকর্ডটা আরও একটু বাড়িয়ে নিল কিংস।  

ফাইনালে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ মোহামেডান। আগামী ১৮ ডিসেম্বর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোচ অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।