দুই বছর আগের কথা। ইউরোপের শীর্ষ ১২ টি ক্লাব মিলে এক নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল।
আদালত তাদের সবুজ সংকেত দেন। একই সঙ্গে জানান, সুপার লিগের ওপর ফিফা ও উয়েফার বাধা আরোপ করা বেআইনি। নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন ভঙ্গ করেছে।
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (সিজেইইউ) তাদের রায়ে বলেছেন, ‘যেকোনো আন্তঃক্লাব ফুটবল প্রকল্প, যেমন— সুপার লিগ অনুমতি সাপেক্ষে এগিয়ে যেতে পারে। ফিফা ও উয়েফা সেই প্রতিযোগিতায় কোনো ক্লাব ও খেলোয়াড় অংশ নিলে নিষিদ্ধের যে নিয়ম তৈরি করেছে, তা বেআইনি। এর মাধ্যমে ফুটবলের বাজারে প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করা হয়েছে। ’
যদিও আদালত বলেছে, ‘এর মানে এই নয় যে সুপার লিগ প্রকল্পের মতো প্রতিযোগিতাকে অবশ্যই অনুমোদন দিতে হবে। ‘ তবুও রায়ে নিজেদের বিজয়ী হিসেবে দাবি করছে সুপার লিগ প্রচারকারী কোম্পানি এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। কোম্পানিটির সিইও বার্নার্ড রাইচার্ট বলেন, ‘এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা জিতেছি। আমাদের অধিকার আদায় করতে পেরেছি। উয়েফার একচেটিয়া আধিপত্য শেষ। ফুটবল এখন স্বাধীন। ‘
সুপার লিগের সবসময় বিরোধিতা করে আসা স্প্যানিশ লা লিগা এক বিবৃতিতে জানায়, 'যদিও সুপার লিগের প্রচারকারীরা দাবি করছে, রায় তাদের পক্ষে গিয়েছে। বাস্তবতা হলো সিজেইইউ পরিষ্কারভাবে বলেছে, এর মানে এটা নয় যে সুপার লিগের মতো প্রতিযোগিতাকে অবশ্যই অনুমোদন দিতে হবে। ফিফা ও উয়েফার নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসার পর আদালত সেই নির্দিষ্ট প্রকল্পের পক্ষে রায় দেয়নি। '
এদিকে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস বলেন, ‘আদালতের আজকের সিদ্ধান্তটি ঐতিহাসিক ও বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ। এ রায়ের দুটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। প্রথমত, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল আর একচেটিয়া থাকবে না। এবং দ্বিতীয়ত, সব ক্লাবই এখন থেকে নিজেদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ’
পেরেসের সুরে তাল মিলিয়ে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা বলেন, ‘বার্সেলোনা মনে করে এই রায়ের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বে একচেটিয়া ক্ষমতা নিরোধ করে ইউরোপে একটি নতুন অভিজাত প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এএইচএস