খেলোয়াড় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিল।
বাফুফের আপিল কমিটি আবেদন পর্যালোচনা করে বিকেএসপি’র শাস্তি প্রত্যাহার করেছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আপিল কমিটি বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও মওকুফ করেছে। বিকেএসপির দুই কোচকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছিল বাফুফে। আপিল কমিটি শাস্তি পর্যালোচনা করে সিনিয়র শাহেনুরকে মাফ করলেও রবিউল ইসলামের শাস্তি বহাল রেখেছে।
নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার সিদ্ধান্ত বদলালেও বিকেএসপি'র পয়েন্ট কর্তনসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে ডিসিপ্লিনারি কমিটির দেওয়া শাস্তি বহাল রেখেছে আপিল কমিটি। বিকেএসপির ফুটবল শিক্ষার্থীদের নিজেদের পক্ষে খেলানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে গত মে মাসে চুক্তি স্বাক্ষর করে চকবাজার কিংস ক্লাব। চুক্তি অনুসারে তৃতীয় বিভাগ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল লিগে চকবাজারের হয়ে অংশ নেন বিকেএসপির নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মো. জিফাত। এরপর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের জন্য খেলোয়াড় নিবন্ধনের সময় বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। প্রতিষ্ঠানটির দুই কোচ শাহিনুর ও রবিউলসহ চার ফুটবলারকেও সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে আগামী এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ সময় : ২০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
এআর/এএইচএস