এবারের লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সেটাও আবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে।
গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে শেখ জামাল সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি ফিনিশারদের ব্যর্থতায়। সাজ্জাদ-ফাহিমরা প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও গোলকিপারের বড় পরীক্ষা নিতে পারেননি।
বিরতির আগে ফাহিম পোস্টে বল জড়ালেও রেফারি আগেই অফসাইডের বাঁশি বাজান। দ্বিতীয়ার্ধে বন্দরনগরীর দল দারুণ পারফরম্যান্স দেখায়। আক্রমণে এগিয়ে দুটি গোলও আদায় করে নেয়।
৫০ মিনিটে গোল পেতে পারতো চট্টগ্রাম আবাহনী। বদলি রিয়াজের নিচু ক্রসে ডেভিড ইফেগুয়ে পোস্টের সামনে থেকে ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে পারেননি। তার নেওয়া শট গোলকিপার পা দিয়ে প্রতিহত করে দলকে বাঁচিয়ে দেন। ফিরতি শটও গোলকিপার প্রীতম তালুতে জমা নেন। একটু পর রিয়াজের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
৩ মিনিট পর চট্টগ্রাম আবাহনী সফল হয়। নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল পান মান্নাপ রাব্বি। একক প্রচেষ্টায় ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে নিঁখুতভাবে নিশানাভেদ করেন এই মিডফিল্ডার। গোল করে মান্নাফ রাব্বির উল্লাস ছিল বেশ সাদামাটা।
গোল শোধে শেখ জামাল কম চেষ্টা করেনি। হিগো লেইতে-সাজ্জাদ-ফাহিমরা পারেননি সমতা আনতে। বরং ৯০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডেভিড ইফেগুই গোল করে শেখ জামালের বিপক্ষে জয় আরও সুনিশ্চিত করেন।
লিগে ৬ ম্যাচে চতুর্থ হারে আগের ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল আছে ষষ্ঠ স্থানে। সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ৬ পয়েন্টে গোলগড়ে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে।
দিনের অন্য ম্যাচে রাজশাহীতে দুইবার এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ফর্টিস এফসি। অষ্টম মিনিটেই ব্রাদার্সকে এগিয়ে নেন রাব্বী হোসেন রাহুল। প্রথমার্ধেই অবশ্য সমতা ফেরায় ফর্টিস।
৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন গাম্বিয়ান পা ওমর বাবু। ৬৯ মিনিটে মাহবুবুর রহমান সুফিলের গোলে আবারো এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। তবে ভ্যালেরি গ্রিশেনের ৭৮ মিনিটে করা গোলে ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়। ৬ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থানে ফর্টিস এবং ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ব্রাদার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
এআর/এএইচএস