বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার ‘কিংব্যাক’ খ্যাত মোনেম মুন্নার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনে অসুস্থ হলেও মুন্নাকে মাঠে নামতে হতো অতিমাত্রায় পেইন কিলার ইনজেকশন শরীরে পুশ করে। এমনও হয়েছে জ্বরের শরীর, কঠিন ম্যাচ, পয়েন্ট নষ্ট হলে সর্বনাশ। সমর্থকদের আক্রমণ সামাল দেওয়া যাবে না। একাদশে নামার আগে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। জ্বর খুব একটা কমেনি।
বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে এসে আবার পেইন কিলার ইনজেকশন পুশ করিয়েছেন মুন্না। ভেতরে ভেতরে কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, সেটা টের পাননি দেশের ফুটবলের কিংবদন্তি মোনেম মুন্না। ১৯৯৫ সালে যার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় করেছিল। সেটি মিয়ানমার থেকে চার জাতি টুর্নামেন্টে। কোচ ছিলেন জার্মানির বিশ্বখ্যাত অটো ফিস্টার।
১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় মুন্নার। তিনি তিনবার জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতির টাইগার ট্রফি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সাফ গেমসে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল।
১৯৯৭ সালের ৩১শে মার্চ মুন্না ৩০ বছর বয়সে দেশের পক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিল ওই ম্যাচটি। তিনি আমৃত্যু ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলে গেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুন্নার স্মরণে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সেতুটির নাম ‘মোনেম মুন্না সেতু’ নামকরণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
এআর/আরইউ