দুই বছর আগেই তার ওপর আনা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয় সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু রায়ের আগেই ইতালি ছেড়ে যান রবিনিও।
২০১৩ সালে মিলানের একটি নৈশক্লাবে এক আলবেনিয়ান নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনিওর বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু রবিনিও তখন ব্রাজিলে অবস্থান করছিলেন। তাকে ফেরত আনায় ব্যর্থ হওয়ার পর ইতালিয়ান সরকার অনুরোধ করে সে যেন তার সাজা ব্রাজিলে কাটায়।
গত বুধবার ব্রাসিলিয়া আদালতের রায়ের পর দিনই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন রবিনিও। কিন্তু সেখানেও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপর সান্তোসে নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেপ্তারের শিকার হন তিনি। গত রোববার ব্রাজিলের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘রেকর্ড’-এ রবিনিও বলেন, ওই নারীর সঙ্গে সবকিছু পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল।
সান্তোসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল শহরের ফেডারেল পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রবসন ডি সউজার (রবিনিও) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়েছে। আসামির শারীরিক পরীক্ষা করা হবে (মেডিকেল লিগ্যাল ইনস্টিটিউটে) এবং শুনানিও হবে। এরপর তাকে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে। ’
ব্রাজিলের হয়ে ১০০ ম্যাচ খেলে ২৮ গোল করেন রবিনিও। অপরাধে ঘটানোর সময়ে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের খেলছিলেন তিনি। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২০ সালে করা আপিলে হেরে যান তিনি। ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত তার সাজা বহাল রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
এএইচএস