বার্সেলোনা-লিওনেল মেসি যেন একই সূত্রে গাঁথা। ক্লাবটির বড় একটি অংশ শুধু এই মেসিকে দেখেই সমর্থক বনেছে।
গতকাল নিলামে তোল ন্যাপকিন পেপারটির দাম ওঠে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা)। ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস-এ এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ডলার। অথচ ধারণার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই পেপারটি।
বোনহামস জানিয়েছে, ন্যাপকিন পেপারটি গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।
১৩ বছর বয়সে এই ন্যাপকিন পেপারেই মেসির সঙ্গে চুক্তির বিষয়াদি লিখা হয়। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।
এরপর বার্সার সেসময়ের সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত মেসির হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগার কারণে চুক্তিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভেবেছিলেন। তবে তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে। বাকিটা কেবলই ইতিহাস। যা কোনো ফুটবলপ্রেমির অজানা নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৪
আরইউ