ফিফার তহবিল নিয়ে জালিয়াতি ও মিথ্যা নথি প্রদানের কারণে গত বছর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। এবার একইকাণ্ডে ফিফার হাত থেকে রেহাই পাননি বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদীও।
জরিমানার কবলে পড়ার সালাম মূর্শেদী বলেছেন এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘কর্মচারীরা আমাদের যা করে দেয় সেটার ওপরই আমরা কাজ করি। যদি কোনো দায়িত্বে অবহেলা মনে করে থাকে, তবে আমাদের এটা দিয়ে দিতে হবে। এখানে বিষয়টা এমন না যে আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করেছি। ’
তিনি যোগ করেন, ‘এটা তো চেইন-ওয়ার্ক। এভাবে যখন কোনো কাজ আসে সেখানে যে স্বাক্ষর করবে মনে হবে এটা তারই ভুল। আমি যখন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করি তখন সব প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে। ফিফা-এফসির চূড়ান্ত অনুমোদন দেখেই স্বাক্ষর করি যে ওই খাতে টাকাটা সঠিক আছে কি না। এখানে ভুল থাকতে পারে কি না আমি জানি না। তারা কি ভুল মনে করেছে আমি তাও জানি না। ’
জালিয়াতি ও তহবিল অপব্যবহারের দায়ে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে ৩ বছর ও জরিমানা ১০ হাজারের পরিবর্তে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করেছে তারা। এছাড়াও ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে দেওয়া বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশনস ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানকে। বাফুফের আরেক কর্মকর্তা ইমরুল হাসান শরীফ যিনি প্রকিউরমেন্ট এবং স্টোর অফিসার। তাকে অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছে ফিফা। তাকে ফিফার কমপ্লায়েন্স ট্রেনিং করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
এআর/এএইচএস