রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার খেলায় একবারের জন্যও মনে হয়নি ৩৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
জার্মানিতে আগামী ১৫ জুন পর্দা উঠবে ইউরোর। যেখানে সবচেয়ে বেশি ষষ্ঠবারের মাতে অংশগ্রহণ করে রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন রোনালদো। এই রেকর্ড স্পর্শ করার আগে অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে আরও একটি রেকর্ড গড়েন। এদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে টানা ২১ পঞ্জিকাবর্ষে গোলের কীর্তি গড়েন তিনি।
এই বয়সে রোনালদো যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেটিকে বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘জানি, ফুটবলে আমার খুব বেশি বছর বাকি নেই। বছরের পর বছর ধরে, ৩৫ বছর বয়সের পরও খেলতে পারা একটা উপহার। আমার বয়স ৩৯ এবং প্রতিটি বছরই আমার কাছে নিজেকে উপভোগ করার। জাতীয় দলের হয়ে গোল করা বিশেষ কিছু। জাতীয় দল আমার জীবনের ভালোবাসা, ইউরো জেতা হবে স্বপ্নের মতো। ’
ক্লাব ফুটবলের রাজা বলা হয় রোনালদোকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর রিয়াল মাদ্রিদে রাজত্ব করা এই ফরোয়ার্ড জিতেছেন অনেক শিরোপা। তারপরও জাতীয় দলের বিষয়টা ভিন্ন তার কাছে। রোনালদো বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেলা আমার কাছে আবেগ ও ভালোবাসা। যেকোনো খেলাই বিশেষ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বিশেষ, এটা আমার ষষ্ঠ আসর হবে, যা একটা রেকর্ডও। ২০০৪ সালে যখন আমার (ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ) অভিষেক হয়েছিল বা আজ খেলছি, অনুভূতি সবসময় গর্ব ও আবেগের ছিল। এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। ’
রোনালদো বললেন, ইউরোতে দলের সাহায্যে কোচের যেকোনো সিদ্ধান্ত স্বাদরে মেনে নিতে তৈরি তিনি ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি ভালো অবস্থায় আছি। আমি প্রস্তুত, সবসময় সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকি, আমি শতভাগ পেশাদার। (ইউরোতে) দেশকে সাহায্য করতে এবং কোচের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে আমি সবসময়ের মতোই প্রস্তুত থাকব। ’
ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার চেক রিপাবলিকের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। আসরের ‘এফ’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ তুরস্ক ও জর্জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
আরইউ