ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

ব্যালন ডি'অরের রাতে এমিলিয়ানো-ইয়ামালের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
ব্যালন ডি'অরের রাতে এমিলিয়ানো-ইয়ামালের ইতিহাস

আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জয় ও ক্লাব পর্যায়ে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে টানা দুবার ইয়াশিন ট্রফি জিতে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

একই রাতে সবচেয়ে কম বয়সে কোপা ট্রফি জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।

প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হয়েছে ২০২৪ ব্যালন ডি'অর অনুষ্ঠান। যেখানে প্রথমবার ব্যালন ডি'অর জিতে নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হাতে এই পুরস্কার উঠছে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসেন রদ্রি। এ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সবাই ব্যালন ডি'অর অনুষ্ঠান বর্জন করেন।  

এত নাটকীয়তার মধ্যে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ইয়াশিন ট্রফি বাগিয়ে নেন এমিলিয়ানো। গত মৌসুমে দল অ্যাস্টন ভিলা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ স্থান অর্জন করে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেয়। এরপর গত জুন-জুলাইয়ে আর্জেন্টিনার কোপা জয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যেখানে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জাল অক্ষত রেখে তিনি জিতে নেন আসরের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।

২০১৯ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে এই পুরস্কার। গতবারও এই পুরস্কার জেতেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। এবার তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আর্জেন্টাইন সতীর্থ ও ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেজ। এবার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে এমিলিয়ানো পেছনে ফেলেছেন আন্দ্রিই লুনিন, উনাই সিমোন ও জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে।  

একই রাতে ডাচ কিংবদন্তি রুদ খুলিতের হাত থেকে কোপা ট্রফি নেন ইয়ামাল। এটি বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার। ২০১৮ সাল থেকে ২১ বছরের কম বয়সীদের দেওয়া হয় এই পুরস্কার। ইয়ামাল যখন গত রাতে এই পুরস্কার হাতে নেন, তখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর ১০৭ দিন। ১৮ বছরের কম বয়সে এই পুরস্কার জেতা প্রথম ফুটবলার ইয়ামাল।  

কোপা ট্রফি জেতা বার্সেলোনার তৃতীয় ফুটবলার ইয়ামাল। তার আগে এই ট্রফি জিতেছেন পেদ্রি (২০২১) ও গাভি (২০২২)। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫০ ম্যাচে সাতটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেন ইয়ামাল। এরপর স্পেনের জার্সিতে জেতেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।  

১৮ বছর হওয়ার আগেই একাধারে লা লিগার সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা, ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা ও আন্তর্জাতিক শিরোপাজয়ী সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের কীর্তি গড়েছেন ইয়ামাল। ফলে তার হাতে যে পুরস্কারটি উঠবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।