ঢাকা: জার্মানির ২০০৬ বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার পেছনে দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফার ইথিকস কমিটি। এক ঘোষণায় বিষটি নিশ্চিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অভিযোগ উঠে, অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক চুক্তিতে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের ভার পায় জার্মানি। তৎকালীন সময়ে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ২০০০৬ ওয়ার্ল্ড কাপ লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির (এলওসি) প্রেসিডেন্ট ছিলেন বেকেনবাওয়ার।
গত বছরের অক্টোবরে ৭০ বছর বয়সী বেকেনবাওয়ার বলেছিলেন, তিঁনি বিডিং (নিলাম) প্রক্রিয়ায় একটা ভুল করেছিলেন। অর্থাৎ, পরোক্ষভাবে নিজের ভুল শিকার করে নিয়েছিলেন ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জয়ী! ২০০০ সালে ভোটাভুটির মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২-১১ ভোটে হারিয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপ আয়োজক হয়েছিল জার্মানি।
জার্মানি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ডার স্পাইজেল’ গত বছর প্রকাশিত এক খবরে উল্লেখ করেছিল, জার্মানির পক্ষে ভোট কেনার জন্য ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হয়েছিল। পরে এমন অভিযোগ নাকচ করে দেয় জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
বেকেনবাওয়ার সহ সন্দেহভাজন বাকি পাঁচজনের পরিচিতি তুলে ধরা হলো:
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার: ডিএফবি’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, ২০০৬ বিশ্বকাপের লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির (এলওসি) প্রেসিডেন্ট ও ফিফার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য।
উলফগ্যাং নায়ারসবাখ: ডিএফবির সাবেক প্রেসিডেন্ট, এলওসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে ফিফা ও উয়েফার নির্বাহী কমিটির সদস্য।
হেলমাট স্যান্ডড্রক: ডিএফবির সাবেক মহাপরিচালক ও এলওসি’র টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর।
থিও জোয়ানজিগার: ডিএফবির সাবেক প্রেসিডেন্ট, এলওসির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ফিফা ও উয়েফার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য।
হোর্স্ট স্কিমিড: ডিএফবির সাবেক মহাপরিচালক ও এলওসির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
স্টিফান হ্যান্স: ডিএফবির সাবেক চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ও এলওসির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার।
শুধুমাত্র এ ছয়জনই নয়, তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে ফিফার ইথিকস কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
আরএম