ঢাকা: প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখা মানেই তো বাড়তি সুবিধা পাওয়া। কিন্তু, জেরার্ড পিকে বলছেন অন্য কথা।
ম্যাচে ১-১ সমতা থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন রিয়াল অধিনায়ক (৮৩ মিনিটে)। ম্যাচও ছিল শেষের দিকে। রামোসকে হারানোটাই যেন তাঁতিয়ে দিয়েছিল জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের। দুই মিনিট বাদেই ন্যু ক্যাম্পকে রীতিমতো স্তব্ধ করে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে পিকের হেডে প্রথমে বার্সাই লিড নিয়েছিল। অবশ্য, ছয় মিনিট পরেই গ্যালাকটিকোদের সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা।
বার্সার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পিকে উল্লেখ করেন, ‘মাঠে একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয় তা আমরা জানতাম না এবং লাল কার্ডের (রামোস) পর আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। ’
ঘরের মাঠে হেরে লিগ টেবিলে বার্সার পয়েন্টের লিডটা ছয়ে নেমে গেছে। রিয়ালও শিরোপার দৌড়ে ঘুরে দাঁড়াল। বর্তমানে কাতালানদের চেয়ে সাত পয়েন্টে পিছিয়ে গ্যালাকটিকোরা। দুইয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ৩১ ম্যাচ শেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ৭৬। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র সাতটি করে ম্যাচ বাকি।
এল ক্লাসিকো ব্যর্থতায় বার্সার টানা ৩৯ ম্যাচে (সব ধরনের প্রতিযোগিতায়) অপরাজেয় থাকার রেকর্ডেরও ইতি ঘটলো। তবে এতে অতটা চিন্তিত নন পিকে, ‘হারের মুহূর্ত ভুলে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি সবসময় জিততে পারবেন না। চলতি মৌসুমে শিরোপা জিততে তিনটি প্রতিযোগিতাতেই (লা লিগা, কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়নস লিগ) আমরা ভালো অবস্থানে আছি। ’
এদিকে, ক্যাম্প ন্যুতেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের (কোয়ার্টার ফাইনাল) প্রথম লেগে অ্যাতলেতিকোর মুখোমুখি হবে বার্সা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৬
এমআরএম