ঢাকা: বার্সেলোনার ভিসেন্তে কালদেরন জয় করা হলো না। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
অ্যাতলেতিকোর হয়ে নায়ক বনে যান ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান। তার জোড়া গোলেই দুঃস্বপ্ন উপহায় পায় বার্সা। পুরো ম্যাচজুড়েই নিষ্প্রভ থাকেন ‘এমএসএন’ ত্রয়ী মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার। নব্বই মিনিটেও জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি লাতিন আমেরিকার তিন তারকা ফরোয়ার্ড। টানা পাঁচ ম্যাচে গোলহীন থাকা আর্জেন্টাইন অধিনায়কের জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে ৫০০তম গোলের অপেক্ষাটাও দীর্ঘায়িত হলো।
ভিসেন্তে কালদেরন স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই অনেকটা রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নেয় বার্সা। ডিফেন্ডারদের ভুলে ৩৬ মিনিটে গোল হজম করার পরই টনক নড়ে লুইস এনরিকের শিষ্যদের। ডি-বক্সে মার্কিংয়ের বাইরে থাকা গ্রিজম্যান সাউলের বাড়ানো বলটি হেডে জালে পাঠান।
অ্যাগ্রিগেট স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। এ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ হলেও ন্যু ক্যাম্পের অ্যাওয়ে গোলটিই অ্যাতলেতিকোকে শেষ চারে নিয়ে যেত। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় (লাল কার্ড) ঘরের মাঠে দর্শক ভূমিকায় থাকেন প্রথম লেগের গোলস্কোরার ফার্নান্দো তোরেস।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বার্সার আক্রমণাত্মক ফুটবল স্বাগতিকদের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি। উল্টো নির্ধারিত সময়ের দু’মিনিট আগে পেনাল্টি বক্সে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলে দলের বিপদ ডেকে আনেন অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন গ্রিজম্যান।
এর দু’মিনিট পরই পেনাল্টি পেতে পারত বার্সা! ডি-বক্স সীমানা ঘেঁষে দাঁড়ানো অ্যাতলেতিকো অধিনায়ক গাবির হাতে বল লাগলে সমস্বরে পেনাল্টির দাবি তোলেন ইনিয়েস্তা-বুসকেটসরা। কিন্তু, রেফারি ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন। তখন বার্সার ভাগ্য নির্ভর করছিল মেসির পায়ের উপরই!
কিন্তু, হতাশই করলেন মেসি। তার বাঁ পায়ের বাঁকানো শটটি গোলপোস্টের ঠিক উপর দিয়ে চলে যায়। অ্যাগ্রিগেটে সমতায় ফিরে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ানোর শেষ সম্ভাবনাটুকুও ভেস্তে যায়। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই হতাশায় নিমজ্জিত হন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। অন্যদিকে, হাজার হাজার অ্যাতলেতিকো সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ‘বার্সা বধের’ উল্লাসে মাতে পুরো অ্যাতলেতিকো দল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৬
এমআরএম