ঢাকা: সুন্দর ফুটবলের ধারক বলা হয় ব্রাজিলকে। ফুটবল অভিধানে শব্দটি পরিচিত ‘জোগো বনিতো’ নামে।
স্যাভিওর বিশ্বাস, নেইমারের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের শিরোপা ঘরে তুলবে ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে অলিম্পিকের গোল্ডটাই (স্বর্ণ) এখনো অধরা।
ইতোমধ্যেই এক ঘোষণায় নেইমারের অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে ব্রাজিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে কোপা আমেরিকায় তার খেলার অনুমতি দেয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
নিজেদের মাটিতে অলিম্পিক আসরে নেইমারের উপস্থিতি ব্রাজিলকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন স্যাভিও, ‘গোল্ড মেডেল জেতাটা একটা বড় স্বপ্ন। আমি বলছি না যে, আমরাই ফেভারিট থাকব। কারণ অতীতে আমরা সবাই দেখেছি, ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা চূড়ান্ত সফলতা এনে দিতে পারেনি। কিন্তু নেইমার থাকায় ব্রাজিল আরো বেশি শক্তিশালী টিমে পরিণত হবে। ’
সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা আরও বলেন, ‘ব্রাজিল ফুটবলে নেইমারের নামটা অনেক কিছুই বহন করে। শৈল্পিক ফুটবলীয় দক্ষতায় সে ব্রাজিল দলকে প্রতিনিধিত্ব করছে। এ ধরনের ফুটবল সব সময়ই বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। নেইমার সেটি ফিরিয়ে এনেছে। যখন নেইমারের মতো কেউ থাকে, ব্রাজিলের মানুষও অতীত স্মরণ করে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল বলতে যা বোঝায় সেটিই সে বহন করছে। ’
নেইমারকে আগামীর ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি হিসেবে দেখছেন ৪২ বছর বয়সী স্যাভিও, ‘নেইমার এখনো তরুণ খেলোয়াড়। খুব শিগগিরই সে উপলব্ধি করবে জাতীয় দলের হয়ে খেলার গুরুত্বটা কী, কীভাবে একজন আইডল হওয়া যায় এবং সে দলের জন্য কতটা গুরুত্ব বহন করে। ’
‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, টেকনিক্যাল কোয়ালিটি নেইমারের সবচেয়ে বড় শক্তি। সে একজন চমৎকার ফুটবলার। তার মধ্যে মাঠের খেলার পার্থক্য গড়ে দেওয়ার সক্ষমতা আছে। সে খুবই দ্রুতগতির ও খুবই দক্ষ। নেইমার এমন একজন খেলোয়াড় যার সামনে আরো উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে এবং ইউরোপিয়ান ফুটবলে আরো বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সে নিজেকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে, বিশেষ করে বার্সেলোনার হয়ে। সন্দেহাতীতভাবেই বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরাদের একজন নেইমার। ’-যোগ করেন স্যাভিও।
আগামী ৪ আগস্ট রিও অলিম্পিকের পর্দা উঠবে। গ্রুপ ‘এ’ তে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক ও ডেনমার্কের মুখোমুখি স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এমআরএম