বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: মিডফিল্ডার ল্যান্ডিংয়ের জোড়া গোলে সিঙ্গাপুর ক্লাব তামপাইনস রোভারস’কে ৩-২ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপে প্রথম জয়ের দেখা পেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দলের হয়ে অপর গোলটি করেছেন এমেকা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিক অফের শুরু থেকেই লড়তে থাকে স্বাগতিক শেখ জামাল ও সফরকারী তামপাইনস রোভারস।
তবে আক্রমণের প্রতিযোগিতায় শেখ জামাল এগিয়ে থাকায় প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে তামপাইনস সীমানায় দারুণ এক গোছালো আক্রমণ রচনা করে কোচ শফিকুল হক মানিকের শিষ্যরা। দলটির ডি-বক্স সীমানায় গিয়ে এমেকার এগিয়ে দেয়া বল থেকে ল্যান্ডিংয়ের প্লেসিং শটে ১-০ তে লিড পায় শেখ জামাল।
তবে, এগিয়ে থাকাটা খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিক শিবির। প্রথমার্ধ শেষের একেবারে শেষ মুহূর্তে শেখ জামালের ডি-বক্সের ভেতর থেকে তামপাইনস অধিনায়ক মু্স্তাফিক ফারউদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় ডানপায়ের জোরালো শটে শেখ জামাল গোলরক্ষক হিমেল সম্পূর্ণ পরাস্ত হলে খেলায় ১-১ এ সমতা আসে।
আর সমতা নিয়েই প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় দু’দল।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে আক্রমণ ভাগকে আরও ধার দিয়ে তামপাইনস সীমানায় ঝাঁপিয়ে পড়ে শেখ জামাল। ৫৬ মিনিটে আবার গোলভান্ডার সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন শেখ জামাল অধিনায়ক ওয়েডসন। কিন্তু ডি-বক্স সীমানায় মুস্তাফিক তাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। আর সেই পেনাল্টি থেকে তামপাইনসের জালে বল জড়িয়ে দলকে ২-১ ব্যবধান এনে এমেকা।
পিছিয়ে পড়াটা যেন ঠিক মেনে নিতে পারেনি এএফসি কাপে দুর্দান্ত খেলা সিঙ্গাপুরের দলটি। ৭০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট নেন স্ট্রাইকার বিলি মেহমেত। আর তাতেই খেলা ২-২ এ সমতায় ফেরে।
আসলে দিনটা ছিল শেখ জামালের। তাইতো সমতায় থাকাটা যেনো ঠিক যেন মেনে নিতে পারছিলো না স্বাগতিকরা। ৮২ মিনিটে শেখ জামালের দারুণ এক ডিফেন্সচেরা আক্রমণে এমেকার এগিয়ে দেয়া বল থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে নিয়ে যান ল্যান্ডিং।
এরপর সমতায় ফিরতে বারবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তামপাইনস রোভারস শিবির।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল ২০১৬
এইচএল/এমআর