ঢাকা: জিনেদিন জিদানের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের নাম চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল! শিরোপা জিতলে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতার গৌরব অর্জন করবেন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি। তার সাবেক ক্লাব সতীর্থ ডেভিড বেকহাম তো বলেই দিয়েছেন, রিয়ালের কোচ হিসেবে জিদানই যোগ্য।
লস ব্লাঙ্কসরা যে ধরনের স্থিতিশীলতা চায় তার জন্য জিদানের পর্যাপ্ত সময় দরকার বলেও মনে করেন বেকহাম। এ বছরের শুরুতে গ্যালাকটিকোদের প্রধান কোচ পদে রাফায়েল বেনিতেজের স্থলাভিষিক্ত হন জিদান। তার ‘জাদুকরি স্পর্শে’ যেন রিয়ালের চেহারাটাও বদলে যায়!
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে বার্সেলোনার চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে লিগ মৌসুম শেষ করেন রোনালদো-বেল-বেনজেমারা। মৌসুমের শেষ দিনেই যে শিরোপার বিজয়ী দল চূড়ান্ত হয়। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে লা লিগার আক্ষেপ ঘোঁচানোর অপেক্ষায় জিদানের শিষ্যরা। একই সঙ্গে তাদের সামনে ট্রফিহীন মৌসুমও চোখ রাঙানি দিচ্ছে।
তবে ফুটবল বোদ্ধাদের মতে, নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকোর চেয়ে রিয়ালই এগিয়ে থাকবে। যদিও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সা ও সেমিতে বায়ার্ন মিউনিখের মতো জায়ান্ট ক্লাবকে হারিয়েই ফাইনালে পা রাখে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। মিলানের সান সিরোতে আগামী ২৮ মে (শনিবার) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায়।
ফুটবলের প্রতি প্রচন্ড আবেগময় জিদানের মতো এমন একজনকে কোচ হিসেবে পাওয়াটা রিয়ালের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করেন বেকহাম। এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ইংলিশ তারকা বলেন, ‘না, কোচ হওয়ার জন্য আমার জন্ম হয়নি। কিন্তু জিজু (জিদান) ছিল। সে আমার একজন ভালো বন্ধু। ফুটবলের তার আবেগ অনেক গভীর। তার মতো এমন মানুষ আমি কখনো দেখিনি এবং যাদের সঙ্গে খেলেছি তাদের মধ্যে জিদানই সেরা। ’
‘জিদানের রিয়ালের কোচ হওয়াটা খুবই ন্যাচারাল ব্যাপার ছিল। তার দায়িত্বটা খুব কঠিন কারণ গত পাঁচ বছরে রিয়াল ইতিহাসের সেরা ক্লাবের (বার্সেলোনা) মুখোমুখি হয়েছে। যখন কেউ এমন ক্লাবের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তখন সবকিছুই কঠিন হয়ে যায়। রিয়ালের স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জিদানেরও সময় দরকার। সে যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ নাও জেতে তারপরও তাকে স্পেস ও কাজ করার সুযোগ দেওয়াটা ভালো দেখাবে...স্থিতিশীলতাই আসল চাবিকাঠি। ’
প্রসঙ্গত, একটা সময় ক্লাব সতীর্থ হিসেবে রিয়ালের মাঝমাঠ শাসন করেছিলেন জিদান ও বেকহাম। ২০০১-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাটিয়ে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানেন জিদান। অন্যদিকে, এলএ গ্যালাক্সিতে পাড়ি জমানোর আগে ২০০৩-০৭ পর্যন্ত গ্যালাকটিকোদের জার্সি খেলেছিলেন ‘ফ্রি-কিক মাস্টার’ বেকহাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
এমআরএম