ঢাকা: আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৬০ সাল থেকে যার যাত্রা শুরু হয়।
ইউরো আসরে সবচেয়ে সফল দল স্পেন ও জার্মানি। দু’দলই এখন পর্যন্ত তিনবার করে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। পশ্চিম জার্মান থাকাকালীন ১৯৭২ ও ১৯৮০ সালে ট্রফি ঘরে তোলে দলটি। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে একত্রিত জার্মান আবারও শিরোপা উৎসবে মাতে।
স্পেন ১৯৬৪ সালে ইউরোর দ্বিতীয় আসরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়। তবে ২০০৮ ও ২০১২ সালে টানা দু’বার শিরোপা ঘরে তোলে লা রোজারা। দু’বার শিরোপা জিতেছে এবারের স্বাগতিক দল ফ্রান্স। আর একবার করে ট্রফির স্বাদ পায় সে সময়কার সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইতালি, চেক রিপাবলিক, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও গ্রিস।
আগের আসরে ১৬ দল নিয়ে ইউরো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এবারই প্রথম ২৪ দল নিয়ে মোট ছয়টি গ্রুপে আসরটি সম্পন্ন হবে।
ইউরোতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১১টি আসরে অংশগ্রহণ করে জার্মান। নয় বার খেলেছে স্পেন। আটবার করে খেলেছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি। এবারের আসরে একেবারে নতুন দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে আলবেনিয়া, আইসল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও ওয়েলস।
এবারের আসর ১০ জুন থেকে শুরু হয়ে এক মাসব্যাপী ১০ জুলাইতে গিয়ে এর পর্দা নামবে। ফ্রান্সের মোট ১০টি ভেন্যুতে আসরটি অনুষ্ঠিত হবে।
আসরে ইউরোপের বড় দলগুলোর মধ্যে থাকছে বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন ও সুইডেন। তবে বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসতে পারেনি নেদারল্যান্ডসের মতো তারকা সমৃদ্ধ দল।
নিচে ছয়টি গ্রুপে দলগুলোর নাম দেওয়া হলো:
গ্রুপ ‘এ’-ফ্রান্স, রোমানিয়া, আলবেনিয়া ও সুইজারল্যান্ড।
গ্রুপ ‘বি’-ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ওয়েলস ও স্লোভাকিয়া।
গ্রুপ ‘সি’-জর্মান, ইউক্রেন, পোল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড।
গ্রুপ ‘ডি’-স্পেন, চেক রিপাবলিক, তুরস্ক, ক্রোয়েশিয়া।
গ্রুপ ‘ই’-বেলজিয়াম, ইতালি, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ও সুইডেন।
গ্রুপ ‘এফ’-পর্তুগাল, আইসল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি।
পাঠকদের জন্য ইউরোর এবারের আসরের জায়ান্ট দলগুলোর স্কোয়াড দেওয়া হলো:
ইতালির ৩০ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: জিয়ানলুইজি বুফন, ফেদেরিকো মার্চেট্টি, সালভাতোরে সিরিগু।
ডিফেন্ডার: ডেভিড আস্তুরি, আন্দ্রে ব্রাজাগলি, লিওনার্দো বনুচ্চি, জিওর্জিও চিয়েল্লিনি, অ্যাঞ্জেলো ওগবোনা, ড্যানিয়েল রুগানি।
উইঙ্গার: ফেদেরিকো বার্নাডদেশেচি অ্যান্তোনিও ক্যান্ডরিভা, মাত্তেও ডারমিনা, মাতিয়া ডি স্চিগলিও, স্টেফান এল শারাওয়ে, ডেভিডে জাপাকোস্তা।
মিডফিল্ডার: মার্কো বেনাসি, গিয়াকোমো বোনাভেচুরার, ড্যানিয়েল ডি রসি, আলেসান্দ্রো ফ্লোরেন্জি, ইমানুয়েল গিয়াচিরিনি, জর্জিনহো, রিকার্ডো মেন্টোলিভো, থিয়াগো মোত্তা, মার্কো পারোলো, স্টেফানো স্টুরারো।
ফরোয়ার্ড: এডার, সেরো ইমোবিলে, লরেঞ্জো ইনসিগনে, গ্রাজিয়ানো পেলে, সিমন জাজা।
পর্তুগাল স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: রুই প্যাট্রিসিও , অ্যান্থনি লোপেজ, এদুয়ার্দো।
ডিফেন্ডার: ভিয়েইরিনহা, রাফায়েল গিরেইরো, চেড্রিক সোরস, এলিসিউ, ব্রুনো আলভেস, জোসে ফন্তে, রিকার্ডো কারভালহো, পেপে।
মিডফিল্ডার: উইলিয়াম কারভালহো, দানিলো পেরেইরা, জোয়াও মুতিনহো, আদ্রিয়েন সিলভা, জোয়াও মারিও, আন্দ্রে গোমেস, রেনাতো সানচেজ ।
ফরোয়ার্ড: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এদার, ন্যানি, রিকার্দো কুরেসমা, রাফা সিলভা।
স্পেনের ২৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: ইকার ক্যাসিয়াস, ডেভিড ডি গিয়া , সার্জিও রিকো।
ডিফেন্ডার: জর্ডি আলবা, জেরার্ড পিকে ও মার্ক বারত্রা, সার্জিও রামোস ও দানি কারভাহাল, সিজার আজপিলিকুয়েতা, হুয়ানফ্রান ।
মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ডেভিড সিলভা, মিকেল সান জোসে, কোকে ও সাউল নিগুয়েজ, সেস ফ্যাব্রিগাস, থিয়াগো আলকানতারা, ইসকো, ব্রুনো সোরিয়ানো ।
ফরোয়ার্ড: পেদ্রো রদ্রিগেজ, আলভারো মোরাতা, আরিত্জ আদুরিজ, নোলিতো, লুকাস ভাজকুয়েজ ।
জার্মান ২৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যুয়ের, বার্নড লিনো ও টার স্টেগেন।
ডিফেন্ডার: জেরোম বোয়াটেং, এমরি কান, জোনাস হেক্টর, বেনেডিক্ট, ম্যাট হ্যামেলস, মুস্তাফি, সেবাস্তিয়ান রুবি ও অ্যান্তোনিও রুডিগার।
মিডফিল্ডার: করিম বেল্লারাবি, জুলিয়ান ব্রান্ডট, জুলিয়ান দ্রাক্সলার, মারিও গোতজে, সামি খেদিরা, জোসুয়া কিমিচ, টনি ক্রুস, মেসুত ওজিল, লিরোয় স্যানে, বাস্তিয়ান শোয়াইন্সটাইগার, জুলিয়ান উইগেল।
ফরোয়ার্ড: মারিও গোমেজ, থমাস মুলার, লুকাস পোডলস্কি, মারকো রিউস, আন্দ্রে শ্যুরলে।
ইংল্যান্ড ২৬ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: জো হার্ট, ফ্রেজার ফরস্টার, টম হিয়েটন।
ডিফেন্ডার: রায়ান বারট্রান্ড, গ্যারি কাহিল, নাথানিয়েল ক্লেইন, ড্যানি রোজ, কাইল ওয়াকার, ক্রিস স্মলিং, জন স্টোন।
মিডফিল্ডার: ডেলে আলি, রস ব্রাকলি, ফ্যাবিয়ান দেল্প, এরিক দিয়ের, ড্যানি ড্রিঙ্কওয়াটার, জর্ডান হেন্ডারসন, অ্যাডাম ল্যালান, জেমস মিলনার, রাহিম স্টার্লিং, অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ড, জ্যাক উইলশেয়ার।
স্ট্রাইকার: হ্যারি কেইন, মার্কাস রাশফোর্ড, ওয়েইন রুনি, ড্যানিয়েল স্টুরিজ, জেমি ভার্ডি।
বেলজিয়ামের ২৪ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: থাইবাউট কোরতোইস, জেন ফ্রান্সিসকো জিলেট, সাইমন মিগনোলেট।
ডিফেন্ডার: টবি আলডেয়ারেল্ড, ডেডরেক বোয়াটা, জেসন ডিনায়ার, বিজ্রোন এঙ্গেলস, নিকোলাস লোম্বাট্রস, জর্ডান লুকাকু, টমাস মেউনিয়ার, টমাস ভারমালেইন, জান ভারটোঙ্গেন।
মিডফিল্ডার: মুসা দেম্বেলে, মারোনে ফেলাইনি, রাদজা নাইনগোলান, অ্যাক্সেল উইটসেল।
ফরোয়ার্ড: মিকে বাটসাহুয়ে, ক্রিস্টিয়ান বেনটেক, ইয়ান্নিক কারাস্কো, কেভিন ডি ব্রুইন, এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলো লুকাকু, দ্রিয়েস মারটেনস, ডিভোক ওরিগি।
ফ্রান্সের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: হুগো লোরিস, স্টিভ ম্যানদান্দা, বেনোইত কোস্টিল।
ডিফেন্ডার: রাফায়েল ভারানে, লরেন্ট কোসচিলিনি, বাসেরে সাগান, প্যাট্রিক এভরা, ইলিয়াকুয়ে মঙ্গলা, জেরেমি ম্যাথিউ, ক্রিস্টফে জালেট, লুকাস ডিগনে।
মিডফিল্ডার: পল পগবা, ব্লেইস মাতুইদি, লাসানা দিয়ারা, মুসা সিসোকো, এন’গোলো কান্তে, ইয়োহান কাবায়ে।
ফরোয়ার্ড: অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, অ্যান্থনি মার্শাল, অলিভার জিরুদ, দিমিত্রি পায়েত, কিংসলে কোম্যান, আন্দ্রে পিয়েরে জিগনাক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ২৮ মে, ২০১৬
এমএমএস