ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ১ মাসের চুক্তি শেষ হলো জাতীয় দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্লে অফে ২ ও ৭ জুন তাজিকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এই ডাচ কোচকে।
গেল মে মাসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রুইফরে মধ্যে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি শেষ হলো (৮ জুন)। আর এর ফলে কোচ শূন্য হয়ে পড়লো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
এদিকে আসছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভুটানের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ প্লে অফের দুই ম্যাচেও ক্রুইফই বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে থাকবেন বলে আভাষ দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি তাবিথ আউয়াল। ‘আমরা চাচ্ছি ক্রুইফই থাকুক। তবে সেটা এখনই নয়, পরে চুড়ান্ত করবো। ’
মুল ব্যাপারটি হলো ভুটানের সঙ্গে জিতে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব নিশ্চিত করা। যদি ক্রুইফ বাংলাদেশের কোচ হিসেবে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে দীর্ঘ্য মেয়াদে তার সঙ্গে অথবা ক্রুইফের বদলে ওই সময় যিনিই বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকবে তিনিই দীর্ঘ মেয়াদে লাল-সবুজের দলের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (৮ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ক্রুইফের সাথে আলোচনার পর তাবিথ আরও জানান, ‘আজ ক্রুইফের সঙ্গে আমাদের ছোট পরিসরের চুক্তিটি শেষ হলো। আমার সাথে সভাপতির কথা হয়েছে। আমরা একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য যাচ্ছি। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভুটানের সাথে আমাদের ম্যাচ আছে। সেখানে আমাদের দল কেমন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। ওখানে হেরে গেলে আমরা আমাদের দলের কৌশলগত উন্নয়নের দিকে নজর দিবো। লোডভিক ডি ক্রুইফ আমাদের প্লেয়ারদের ভালোভাবেই চেনে। ওকে রাখা যায় কী না সেটা নিয়ে আমরা এখনও পরিকল্পনা করছি। আর এই পরিকল্পনার প্রেক্ষিতেই আমরা কোচ নির্বাচন করবো। সেই ক্ষেত্রে ক্রুইফ আমাদের বিবেচনায় থাকতে পারেন। ’
ক্রুইফ চলে যাচ্ছেন নিজ দেশে। ডাচ ফুটবলের সঙ্গে তারও চুক্তি আছে তাই বাংলাদেশে থাকতে পারছেন না। তাহলে এই মুহূর্তে কে হচ্ছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচ হিসেবে কে থাকবেন সেটা জানা যাবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই। এছাড়াও আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই স্থায়ী ভিত্তিতে একজন কোচ নিয়োগ দেয়ার সর্বত্মক প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ৮ জুন, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস