ঢাকা: ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতালির মার্কো মাতেরাজ্জিকে ফ্রান্সের তারকা জিনেদিন জিদানের ‘ঢুস’ মারার দৃশ্যটা স্থায়ী আসনই গড়ে নিয়েছে ফুটবল বিশ্বে। ফুটবল ইতিহাসের অ্যালবামে চিরঠাঁই পেয়ে গেছে ছবিটা।
সেই অখেলোয়াড়িসুলভ আচরণে এখনও অনুতপ্ত জিদান। ভারত সফরে এসে সেই অনুশোচনাবোধ এর কথা জানান ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই কিংবদন্তি।
মুম্বাইয়ের সাংবাদিকরা ফরাসি কিংবদন্তিকে প্রশ্ন করেছিলেন মাতেরাজ্জিকে ঢুস মারার বিষয়টি নিয়ে। লজ্জিত জিদান এ সময় বলেন, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ঢুস মারার মধ্যে কোনো গর্ব নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি না। আমি সত্যিই ওই ঘটনার জন্য লজ্জিত। আমি কাউকে এমন আচরণ করার পরামর্শও দেব না।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল জিদানের ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ। ফাইনাল চলাকালীন মা ও বোনকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে মেজাজ হারিয়ে মাতেরাজ্জির বুকে ঢুস মেরে লালকার্ড দেখেন জিদান।
কিংবদন্তি এই ফুটবলার এখন রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা এই কোচ নিজের শিষ্যদের কি পরামর্শ দেন এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, প্রতিটা খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে ভুল থাকবে। তবে, আমি শিষ্যদের সব সময় বলি যে খেলার মাঠে নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কখনোই প্রতিপক্ষের ফুটবলারের বিপক্ষে এমনটি করতে যাবে না।
জিদানের ‘ঐতিহাসিক’ ঢুস নিয়ে গল্প-উপন্যাস-গান-কবিতার মতো ভাস্কর্যও তৈরি করা হয়েছিল। দশ বছর আগের ঢুসটির জের জিদান যেন এখনো টেনে চলেছেন। বহুল আলোচিত সেই ভাস্কর্য ইতালি, ফ্রান্সের পর প্রদর্শনীর জন্য নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক কাতারে। তবে, ছোটরা এই ভাস্কর্য দেখে সহিংস হতে উৎসাহিত হবে এমন আপত্তির মুখে ১৬.৪ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটি পরে সরিয়েই ফেলতে হয় কাতার থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ১২ জুন ২০১৬
এমআরপি