ঢাকা: সাতটি নয়, জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে দেশের চারটি ভেন্যুতে। ভেন্যুগুলো হলো ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ও রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম-ময়মনসিংহ।
আর এর ফলে বাদ পড়লো গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম-রাজশাহী ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম-বরিশাল।
রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফুটবলের পেশাদার লিগ কমিটির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আমরা যে সাত ভেন্যু নির্ধারণ করেছিলাম এবং প্রিমিয়ার লিগের প্রাথমিক যে সূচি আমরা দাঁড় করিয়েছিলাম তাতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিগ চলে যাবে। যে কোনো দলকে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যেতে নুন্যতম তিন দিন সময় দিতে হবে যা এই সাত স্টেডিয়ামে হলে সম্ভব নয়। তাছাড়া সব ভেন্যুতে ফ্লাডলাইটও নেই। আছে শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। ফলে চাইলেও ওই ভেন্যুগুলোতে একটির বেশি ম্যাচ খেলানো সম্ভব নয়। এছাড়াও থাকছে ঈদুল আযহার বন্ধ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জাতীয় দল হোম ও অ্যাওয়ে খেলতে যাবে, যেখানে কম করেও ১৫ দিন লাগবে। এছাড়াও এএফসি কাপে শেখ রাসেল অংশ নিবে সেখানেও তাদের ৫ দিন সময় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় ৩৫ থেকে ৪০ দিন চলে যায়। যত দ্রুতই খেলা সম্পন্ন হোক না কেন। ফলে আমরা যদি ফেব্রুয়ারিতে যাই তাহলে পরবর্তীতে ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
‘এছাড়া ডিসেম্বরের পরে আমরা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করতে চাইছি, যা সাত ভেন্যুতে খেললে সম্ভব হবে না। ফলে সব কিছু বিবেচনা করেই আমরা চারটা ভেন্যুতে খেলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি’- যোগ করেন মুর্শেদী।
ফলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা শেষ হবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। উল্লেখ্য আসছে ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম পর্ব দিয়ে মাঠে গড়াবে নবম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই ২০১৬
এইচএল/এমআরপি