ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: নতুন চেহারায় দেখা গেলো দেশের ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। টানা চার ম্যাচে হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল জায়ান্টদের।
দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ফিকরু ফর্মে না থাকায় চলতি লিগে বেশ ভুগতে হচ্ছে মারুফুল হকের শিষ্যদের। ভাগ্যদেবী সহায়ক না হওয়ায় একাধিক সুযোগ পেয়েও এদিন কাজে লাগাতে পারেনি বিগ বাজেটের এ দলটি। তবে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা আক্রমণ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ দুমড়ে মুচড়ে দেয় শেখ রাসেল।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই গোল পায় শেখ রাসেল। রাজুর অসাধারণ সেট পিস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন ইকাঙ্গারা। তার গোলের মধ্যে দিয়ে ৬১ নম্বর গোলের মাইলস্টোক স্পর্শ করে এ লিগ।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৩৫ মিনিটের মাথায় রাজন মিয়ার স্কয়ার পাস থেকে সুযোগ পেয়েও সাখাওয়াত রনি গোলরক্ষক হিমেলের হাতে বল তুলে দেন। ২৯ মিনিটের সময় মিঠুনকে তুলে দিয়ে রাজনকে মাঠে নামায় শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল। ৩৬ মিনিটের সময় রাজুর ফ্রি-কিক থেকে সাখাওয়াত রনি গোলপোস্টের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে মারেন।
এ সময়টাতে প্রতিপক্ষ টিম বিজেএমসিকে বেশ চাপেই রাখে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ছুটির দিনে যারা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন তাদের আর হতাশ হয়ে ফিরতে হয়নি।
গ্যালারির পশ্চিম প্রান্ত থেকে ‘শেখ রাসেল, শেখ রাসেল’ বলে আওয়াজ দিচ্ছিলেন তরুণদল। নান্দনিক ফুটবলশৈলী উপহার দিয়েই শেখ রাসেল তাদের মন ভরে দিয়েছে।
সাইফুল ও সোহেল নামের দুই তরুণ জানান, ‘শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল ময়মনসিংহের সন্তান। তিনি দেশের এক নম্বর কোচ। চলতি মৌসুমেও শেখ রাসেল সবচেয়ে বিগ বাজেটের টিম গড়েছে। এ ক্লাবটির সুবিশাল ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু তারা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। মাঠে থেকে তাদের উজ্জীবিত রাখতেই আমরা ক্লাবটির নামে আওয়াজ তুলেছি। এ আওয়াজ কাজেও এসেছে। পরাজয়ের গন্ডি থেকে দলটি বেরিয়ে এসেছে। সত্যিই তারা আমাদের বিনোদন দিয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, আগষ্ট ১২, ২০১৬
এমআরপি