ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

এ কী হাল উত্তর বারিধারার!

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
এ কী হাল উত্তর বারিধারার! ছবি: অনিক খান-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম থেকে: সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না উত্তর বারিধারা ক্লাবের। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্রগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল জয় পেলেও টানা চতুর্থ হার বরণ করতে হয়েছে দলটিকে।

 

বিশেষ করে তাদের নামের পাশে এ লিগেই দু’বার গোল উৎসবের নতুন রেকর্ডও যোগ হয়েছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল সেই পর্বে তাদের বিপক্ষে গোল করেছিল ৫টি। আর ময়মনসিংহ পর্বে পঞ্চম রাউন্ডে রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে জোসেফ পাবলিকের শিষ্যদের হাতে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে দলটিকে।  

এদিন তারা গোল হজম করেছে ৬টি। শোধ করেছেন মাত্র ১টি। ফলে দলটিকে নিয়ে স্টেডিয়ামের এক কোণে থাকা গুটিকয়েক দর্শকরা মেতেছিলেন হাস্যরসে।


জোসেফের হাত ধরেই স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছিল বীর চট্রলার এ দলটি। নতুনত্বের সমাহার নিয়ে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) শিরোপা জয়ের হুংকারও দিচ্ছে দলটি। পয়েন্ট টেবিলে তারা চার নম্বরে থাকলেও উত্তর বারিধারাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারাই এখন রয়েছে শীর্ষে।  

চলতি লিগের ময়মনসিংহ পর্বে এতোদিন ছিল গোল খরা। কিন্তু উত্তর বারিধারার সঙ্গে খেলা মাঠে গড়াতেই গোল করেন চট্রগ্রাম আবাহনীর জাহিদ। এদিন জাহিদ নিজে যেমন গোল করেছেন, তেমনি করিয়েছেনও। ফলে দর্শকদের মুখে মুখেও উচ্চারিত হয়েছে এ ফুটবলারের নাম।  

ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় উত্তর বারিধারার সবুজ সমতা ফিরিয়ে আনলেও এরপর আর দলটির ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি। তাদের জালে একের পর এক গোল ভরেছেন চট্রলার এ দল। আর এ ম্যাচটিতে সারাক্ষণই আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন হাইতির বিদেশি খেলোয়াড় লিওনেল প্রিউক্স।

তবে দুটি গোল করেও লিগে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি চট্রগ্রাম আবাহনীর ইব্রাহিম। দ্বিতীযার্ধের ৪২ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করেন ১৯ নম্বর জার্সিধারী এ খেলোয়াড়। আর শেষ গোলটি করেন রায়হান। এভাবেই চট্রগ্রাম আবাহনী প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ঘাড় ভেঙে একের পর এক গোল আদায় করেন।  

চট্রগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা হেলায় সুযোগ না হারালে হয়তো এ ম্যাচে গোলের বন্যা লেগে যেতে পারতো। ম্যাচের প্রথমার্ধেই দু’দল মিলে ৫ গোল করলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল হয়েছে মাত্র দু’টি।  

এক্ষেত্রে অনেকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন উত্তর বারিধারার গোলরক্ষক রাজিবকে। ৬ গোল হজম করলেও উত্তর বারিধারার সম্মান কিছুটা হলেও রক্ষা করেছেন এ গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের পর পরই তিনি মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনেই তাকে উঠে দাঁড়াতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকরাও সান্তনাসূচক প্রশংসা করেছেন এ গোলকিরক্ষকের।  

বাংলাদেশ সময় ২০২৯ ঘন্টা, আগষ্ট ১৪, ২০১৬
এমএএএম/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।