ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার পারদ। সকাল থেকেই কাঠফাঁটা রোদ্দুর তেঁতে উঠছে বিকেলে।
তাঁতানো গরমে ফুটবলাররা প্রতিনিয়তই খাবি খাচ্ছেন। গরমের চোখ রাঙানিতে অতিষ্ঠ ফুটবলাররা যেন মাঠেই টিকতে পারছেন না। অসহ্য খরতপ্ত দিনে মাঠে দৌড়াতে হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে আরামবাগ ও রহমতগঞ্জের মধ্যকার খেলাতেও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে এ গরমই।
অসহনীয় গরমের কাছেই নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে দু’দলকেই। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে গরমকেই ফ্যাক্টর মেনে নিলেন দু’দলের কোচই। একবাক্যেই তারা জানান, ‘এমন গরমে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকাই দায়। ’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ময়মনসিংহ পর্বের গত দু’ম্যাচে বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমেছিল। বল পাসিংয়ে খানিকটা সমস্যা হলেও তাপমাত্রা সহনীয় থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই খেলেছেন ফুটবলাররা।
কিন্তু মঙ্গলবারের ম্যাচে আবহাওয়া যেন পুরোপুরি বদলে যায়। গরমে নেতিয়ে পড়ে ফুটবলারদের শরীর। তাদের মুখ থেকে হাসিও কেড়ে নেয় প্রতিকূল আবহাওয়া।
রহমতগঞ্জের গোলরক্ষকও ভুগেছেন গরমে। গোল হজমের পেছনে তিনিও দায়ী করেছেন তীব্র রোদকে। কোচ বাবুকে জানান, প্রথম গোল কীভাবে হয়েছে বলতে পারবো না। বল যে জালে ঢুকছে সেটাই দেখতে পারিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে গরমের দাপটে এ খেলোয়াড় মাঠেই নামতে চাননি এমন কথাও জানালেন কোচ বাবু।
গরমের দাপটে এদিন স্টেডিয়ামে দেখা মেলেনি দর্শকের। গ্যালারির পশ্চিম প্রান্তে ছাতা মাথায় খেলা উপভোগ করেছেন গুটিকয়েক দর্শক। আর বাকি গ্যালারি মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। গরমে আরামবাগ ও রহমতগঞ্জের মধ্যকার ম্যাচ ড্র হলেও এদিন চারটি গোল করেছে দু’দলই।
তবে ফুটবলারদের নিশানা ভেদ করেছে এ গরমই, খেলা শেষে বাংলানিউজকে এমনটিই জানান রহমতগঞ্জের আফ্রিকান স্ট্রাইকার সিও জুনাপিও।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৬, ২০১৬
এমআরপি