ঢাকা: আগামী বছরের ২৫ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজিত হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বা সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কাপের আসর। কলম্বোয় সাফ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরে সাফ ক্লাব কাপের আয়োজন হবে বাংলাদেশেই। তাই লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা এবারের এই আসরে স্বাগতিক হিসেবেই মাঠে নামবে।
সাফের আসরে সর্বোচ্চ সাতবার ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। গতবারের চ্যাম্পিয়নও তারা। তিনবার রানার্সআপ হয় দেশটি। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয় মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান আর শ্রীলঙ্কা। তবে কোনোবারই চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়তে পারেনি পাকিস্তান, নেপাল আর ভুটান।
বাংলাদেশ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পেনাল্টি শুটআউটে মালদ্বীপকে হারায় স্বাগতিক হিসেবে খেলতে নামা বাংলাদেশ।
এছাড়া, লাল-সবুজরা ১৯৯৯ এবং ২০০৫ সালে রানার্সআপ হয়। ১৯৯৭ সালে আসরে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। আর ২০০৯ সালে সেমিফাইনালের মঞ্চ থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশে ২০০৩ সালের পর ২০০৯ সালেও সাফের আয়োজন হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে সাফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ২০১৭ সাফ চ্যাম্পিয়শিপের জন্য বাংলাদেশকে স্বাগতিক হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ভারত, মালদ্বীপ ও ভূটান দরপত্র ডাকলেও পরে তারা তা প্রত্যাহার করে নেয়। তাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম আসরটি বাংলাদেশ আয়োজনের সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি