ঢাকা: ‘আমি যদি ফুটবল মাঠের বাইরে তাকে খুঁজে পাই, তবে আমি তার মুখ ভেঙে দেব। ’ এমনই একটি লাইন ছড়িয়ে পড়েছে গণমাধ্যমে।
রব বিয়েসলি নামের এক সাংবাদিকের বইতে এমনই বক্তব্য পাওয়া যায়। মরিনহো রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসির কোচ থাকাকালে বিয়েসলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে নাকি এক সময় প্রচুর ইমেইল আদান-প্রদান হতো।
মরিনহো-ওয়েঙ্গার লড়াই অবশ্য আজকের নয়। কারণ এক সময় চেলসি ও আর্সেনাল মুখোমুখি হলে মাঠের খেলা ছাপিয়ে যেত দু’দলের ডাগআউটে। সেখানে দুই কোচের মুখের লড়াই থেকে শুরু করে হাতাহাতিও পর্যন্ত হতো। কখনো স্টাফ বা কখনো রেফারি এসে থামাতেন তাদের।
একটা ইতিহাস অবশ্য স্পেশাল ওয়ান খ্যাত পর্তুগিজ মরিনহোর দিকেই হেলেছে। কারণ এ দু’জনের লড়াইয়ে ফ্রেঞ্চম্যান ওয়েঙ্গার কখনোই জিততে পারেননি। লিগের ম্যাচে ১৩ বারের সাক্ষাতে ৭ জয়ের সঙ্গে ৬ বার ড্র করেছে মরিনহো শিষ্যরা।
ওয়েঙ্গারের কপাল এতটাই পোঁড়া যে, গানারদের হয়ে নিজের ১০০০তম ম্যাচেও শান্তি পাননি। সে ম্যাচে উল্টো মরিনহোর অধীনে থাকা ব্লুজদের বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরেছে এমিরেটস স্টেডিয়ামের দলটি।
কিন্তু ব্যক্তিগত কৃতিত্বে আবার ভরপুর ওয়েঙ্গার। ইংলিশ ক্লাবটিতে সেই ১৯৯৬ থেকে কোচ হিসেবে শুরু করার পর কাটিয়েছেন ২০টি বছর। শিরোপা যদিও খুব বেশি জেতেননি, তারপরও ইংলিশ ফুটবলের কৌশলটাই পাল্টে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মরিনহোকে চেলসি থেকে দু’বার বহিষ্কৃত হতে হয়েছে। তাইতো সমর্থরা হয়তো মরিনহো থেকে ওয়েঙ্গারকেই এগিয়ে রাখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এমএমএস