ঢাকা: প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের সামনে মূর্তিমান আতঙ্ক। গোল করাটা যার কাছে মামুলি ব্যাপার।
নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার। মুখোমুখি হয়েছেন এমন কঠিনতম ডিফেন্ডারদের মধ্যে সাবেক ইংলিশ তারকা অ্যাশলে কোল ছিলেন তার দুঃস্বপ্নের নাম। একমাত্র তিনিই রোনালদোকে সব সময়ই কঠিন সময়ের মধ্যে রাখতেন। এমনকি কোল নাকি সিআর সেভেনকে দ্বিতীয়বার নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগও দিতেন না। ভাবা যায়!
বয়সে রোনালদোর চেয়ে চার বছরের বড় ৩৫ বছর বয়সী কোল। প্রিমিয়ার লিগে থাকাকালীন বহুবার মুখোমুখি হয়েছেন দু’জন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম (২০০৩-০৯) কাটিয়ে ২০০৯ সালে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান রোনালদো। অন্যদিকে, খেলোয়াড়ী জীবনে লম্বা সময় চেলসিতে (২০০৬-১৪) কাটিয়েছেন কোল। তার আগে পেশাদার ফুটবলের শুরুটা হয় আর্সেনালে (১৯৯৯-২০০৬)। বর্তমানে খেলছেন যুক্তরাষ্টের এলএ গ্যালাক্সিতে।
স্বদেশী ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে (২০০২) পেশাদার ফুটবলে পা রাখার পর অনেক হাই-প্রোফাইল ডিফেন্ডারদের মুখোমুখি হয়েছেন রোনালদো। কিন্তু সবচেয়ে বড় ‘আতঙ্ক’ হিসেবে কোলের নামই বলছেন পর্তুগিজ অাইকন।
এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে অ্যাশলে কোলের সঙ্গে আমার কিছু চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। তিনি আপনাকে দ্বিতীয়বার শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেবে না। নিজের সেরা সময়ে তিনি একজন অনমনীয় খেলোয়াড় ছিলেন। ক্ষিপ্রতা, ট্যাকলে ছিলেন কঠিন। বুঝতেই পারছেন, কখনই এটা সহজ ম্যাচ হবে না। ’
অন্যদিকে, আরেকজন ডিফেন্ডার আছেন যিনি রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলছেন। নাম তার পেপে। ক্লাব ও জাতীয় দল সতীর্থের প্রতি ভূয়সী প্রশংসাই ঝরেছে রোনালদোর কণ্ঠে। ২০০৭ সাল থেকে রিয়ালের রক্ষণভাগ সামলাচ্ছেন ৩৩ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক।
রোনালদোর অভিমত, ‘পেপে এমন একজন টিমমেট যাকে আমি একটি যুদ্ধে আমার পাশে চাই। সে শুধু একজন চমৎকার ডিফেন্ডারই নয়, মাঠে সে কিছুই বাকি রাখে না। সর্বোচ্চটাই ঢেলে দেয়। ’ পেপেকে যুদ্ধে পাশে চাওয়ার মধ্য দিয়ে কী ইউরো জয়ী রোনালদো রাশিয়া বিশ্বকাপের ইঙ্গিত দিলেন?
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টাম, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
এমআরএম