ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

সুয়ারেসের সেরা পাঁচ স্ট্রাইকারে নেই রোনালদো!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
সুয়ারেসের সেরা পাঁচ স্ট্রাইকারে নেই রোনালদো! ছবি:সংগৃহীত

বর্তমান ফুটবল বিশ্বে সেরা দুই স্ট্রাইকার বাছতে দিলে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নামই আসবে। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে গোলস্কোরিংয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন এই দুই তারকা। তবে মেসির ক্লাব সতীর্থ লুইস সুয়ারেসের অবশ্য রোনালদোকে মনে ধরেনি। তাইতো নিজের পছন্দের সেরা পাঁচ স্ট্রাইকার বাছতে তিনি বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তই নিলেন। বাদ দিলেন জুভেন্টাস ও পর্তুগাল তারকাকে।

ব্লিচার রিপোর্টের এক সাক্ষাৎকারে ৩২ বছর বয়সী বার্সেলোনা তারকা সুয়ারেস নিজের পছন্দের সেরা পাঁচ স্ট্রাইকারের নাম দিয়েছেন। যেখানে তিনি অবশ্য তার দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলোর তারকাদেরই মূল্যায়ন করেছেন।

তালিকায় রয়েছেন তার সঙ্গে খেলা সেরা স্ট্রাইকারও।

জাতীয় দল উরুগুয়ের হয়ে খেলা সুয়ারেস নিজেও একজন স্ট্রাইকার। আর সেরাদের বাছতে তিনি দু’জন করে আর্জেন্টাইন ও ব্রাজিল তারকাকে নিয়েছেন। একজন তারই জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ দিয়েগো ফোরলান। আর্জেন্টিনা থেকে সুয়ারেসের বর্তমান ক্লাব সতীর্থ মেসি ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা রয়েছেন। আর ব্রাজিলের রোমারিও ও রোনালদো নাজারিও তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

নিচে পাঠকদের জন্য শীর্ষ থেকে সেরা পাঁচ স্ট্রাইকারের তালিকা দেওয়া হলো:

#১. লিওনেল মেসি
মেসি সম্পর্কে সুয়ারেস বলেন, ‘মেসি আমার কাছে নাম্বার ওয়ান। কেননা সে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এটা আমার জন্য সহজ সিদ্ধান্ত। ’

সম্প্রতি মেসি রেকর্ড ষষ্ঠ বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তার ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি বার্সেলোনার হয়ে ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০টি লা লিগা ট্রফি জিতেছেন। এমনকি কাতালানদের হয়ে ৭০১ ম্যাচে ৬১৪টি গোল রয়েছে তার। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে ১৩৮ ম্যাচে ৭০টি গোল করেছেন।

২০১৪ সালে সুয়ারেস লিভারপুল ছেড়ে বার্সায় পাড়ি দিলে, মেসির সঙ্গে ভয়ঙ্কর জুটি গড়ে তোলেন। যা বিশ্ব ফুটবলে এখনও ত্রাস সৃষ্টি করে।

#২. গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সে আমার সেরা ফুটবলার ছিলেন। সে আসলে ৯ নাম্বার জার্সির খুবই ভালো ফুটবলার এবং ফ্রি-কিকের জন্য তিনি সেরা। আমি তার খেলাকে দারুণ উপভোগ করি। ’-সুয়ারেস

‘বাতিগোল’ নামে পরিচিত বাতিস্তুতা অসাধারণ ক্যারিয়ার কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনা, ইতালি ও মধ্যপ্রাচ্যে। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৭৭ ম্যাচে ৫৪টি গোলও করেছেন।

বাতিস্তুতা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন ইতালিয়ান সিরি’আ লিগে ফিরেন্তিনায়। ১৯৯৯ সালে তিনি ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকা তৃতীয় হয়েছিলেন।

#৩. দিয়েগো ফোরলান
স্বদেশি ফোরলান সম্পর্কে সুয়ারেস বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার ক্যারিয়ারে দেখা সেরা ফুটবলার হচ্ছেন ফোরলান। আমি তার সঙ্গে খেলেছি, সে সত্যিকারেই সেরা স্ট্রাইকার। সে দলের জন্যই খেলতো। সে এমন একজন স্ট্রাইকার যে গোল করতে ভালোবাসতো’

আর্জেন্টিনায় পেশাদারি ফুটবল শুরু করলেও, ফোরলান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি দেওয়ার পরই শিরোনামে আসেন। তবে প্রিমিয়ার লিগে সাফল্য না পাওয়ায় চলে যান স্প্যানিশ লা লিগায়, আর সেখানেই ভিয়ারিয়াল ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পা রাখেন।

ফোরলান ২০১০ সালের বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলার সুবাদে গোল্ডেন বল জেতেন। এছাড়া ইউরোপিয়ান ফুটবলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দু’বার গোল্ডেন শু ট্রফি হাতে তোলেন।

#৪. রোনালদো নাজারিও
ব্রাজিলিয়ান রোনালদো সম্পর্কে মজা করে সুয়ারেস বলেন, ‘সে পেটুক, প্রথম রোনালদো। ব্রাজিলিয়ান রোনালদো। সে সত্যিই অসাধারণ। সে খুবই দ্রুত গতির। মেধাবী একজন মানুষ। ফিনিশার হিসেবে দারুণ সে। তার মাঝে সবই আছে। ’

রোনালদো ব্রাজিলের হয়ে ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতেন। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল করেন।

ক্রুজেইরোতে পেশাদারি ক্যারিয়ার শুরু করার পর রোনালদো ইউরোপে ১৪ বছর কাটান। যেখানে পিএসভি, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান ও এসি মিলানে মাঠ মাতানোর পর নিজ দেশ ব্রাজিলে ফিরে কোরিন্থিয়ান্সে খেলেন।

রোনালদো ১৯৯৭ ও ২০০২ সালে ব্যালন ডি’অর জেতেন। এছাড়া তিনি তিনবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারও ঘরে তোলেন।

#৫. রোমারিও
‘তার ফিনিশটা অসাধারণ’-সুয়ারেস।

২৪ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে রোমারিও ১ হাজারের বেশি গোল করেছেন। যেখানে তিনি স্বদেশি ব্রাজিল, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব ফুটবলে মাতিয়েছেন।

রোমারিও জাতীয় দলের হয়ে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জেতেন। এছাড়া দুটি কোপা আমেরিকা ট্রফিতেও চুমু খান তিনি। করেছেন ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।