ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বার্সায় কিছুই বদলায়নি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
বার্সায় কিছুই বদলায়নি ম্যাচ শেষে মেসি হতাশায় নিজের জার্সি কামড়ে ধরেন/ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগেই আর্নেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করে কিকে সেতিয়েনকে দায়িত্ব দিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু কোচ বদলানোর পরও বার্সার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। 

ভালভার্দে যেখানে রেখে গিয়েছিলেন, সেতিয়েনের অধীনে এখনও ঠিক সেখানেই পড়ে আছে বার্সা। সর্বশেষ ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়েছে।

বিশেষ করে বেঞ্চের খেলোয়াড় পাল্টানোর যে পদ্ধতি সেতিয়েন নিয়েছেন, তা মাঠে ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে না।

চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই যে সমস্যা ভুগছে বার্সা অর্থাৎ অযথা পাসের পর পাস দিয়ে যাওয়া আর বাজে ডিফেন্ডিং, সেই পথ থেকে এখনও বের হতে পারেনি বার্সা। ফলে মাস্তেয়া থেকে মৌসুমের চতুর্থ পরাজয় নিয়ে কাতালুনিয়ায় ফিরছেন মেসির।

তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, সেতিয়েন এখনও দলটাকে ঠিকভাবে গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাননি। দলের দুর্বলতাগুলোও তার কাছে নতুন। তবে এসেই কিছু পরিবর্তন তিনি এনেছেন। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হয় এখনও তার নতুন পদ্ধতি ঠিকমতো গিলতে পারছেন না।

২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এবারই প্রথম মৌসুমের ২১তম ম্যাচে এসে ২৫টি গোল হজম করেছে বার্সা। আর দলের অতিরিক্ত মেসি নির্ভরতা তো আছেই। প্রতি ম্যাচেই নিজের ফুটবল জাদুতে ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন মেসি, এমন অসম্ভব কল্পনা থেকে আগে বের হতে হবে কাতালান জায়ান্টদের।

ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচটি ছিল সেতিয়েনের প্রথম সত্যিকারের পরীক্ষা। এর আগে গ্রানাদার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়টা আসলে পূর্বানুমিত ছিল। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লাব ইবিজা’র বিপক্ষে কোপা দেল রে’র বিপক্ষে কোনোমতে জয় পাওয়াটা হিসাবের মধ্যেই ধরা যায় না। আর সত্যিকারের প্রথম পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি সেতিয়েন।

প্রথম তিন ম্যাচে, বল পায়ে ধরে রাখায় এগিয়ে ছিল বার্সা। কিন্তু এ থেকে ফল তুলে আনার ক্ষেত্রে খুব কমই সাফল্য পেয়েছে দলটি। যেমন, ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষেই তো ৭৪ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, ভ্যালেন্সিয়ার ২৯৭ পাসের বিপরীতে বার্সা পাস দিয়েছে মোট ৮৬৮টি!

দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে সেতিয়েন বলেন, ‘তারা (বার্সার খেলোয়াড়রা) ভালো খেলছে না কিংবা আমরা (কোচিং স্টাফ) তাদের সামনে নিজেদের পরিকল্পনা ঠিকভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। পজিশনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় ঠিক করতে হবে- আমরা অনেক বেশি আর অযথা পাস দিয়েছি। ’

মেসি যদিও নিজের সেরাটা এই ম্যাচেও দিয়েছেন। কিন্তু তাকে প্রায় আটকে রেখেছিল প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। তারপরও ম্যাচে গোলমুখে ১১টি শট নিয়েছিলেন বার্সা অধিনায়ক, যেখানে দল হিসেবে বার্সা নিয়েছিল ১৪টি শট। কিন্তু দিনটা তার ছিল না। আর আক্রমণভাগে মেসির সঙ্গে লুইস সুয়ারেসের না থাকা বার্সাকে দন্তহীন বানিয়ে দেয়, এটা সবাই জানে।

বার্সার জন্য আরও বিপদের কথা যে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ১০০ দিন পর ফের লা লিগার শীর্ষস্থান দখলের খুব কাছে চলে এসেছে। পরের ম্যাচে রিয়াল ভায়াদোলিদকে হারাতে পারলেই এটা সম্ভব করে ফেলবে জিদানের দল। শুধু তাই না, সমান ম্যাচ খেলে এগিয়ে যায়ে ৩ পয়েন্টের ব্যবধানে। এমনকি রিয়াল ড্র করলেও শীর্ষস্থান হারাতে হবে বার্সাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।