পিএসজিতে প্রথম থেকে ইনজুরি ও পারফরম্যান্সের সঙ্গে লড়াই করা নেইমার সর্বশেষ করোনা ভাইরাসের কারণেও থমকে দাঁড়িয়েছেন। যার কারণে ২০১৭ সালে চুক্তি করেও তখন থেকে দলের ১৫৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮০টি খেলতে পেরেছেন তিনি।
এই তিন মৌসুমে শতকরা হিসেবে ৫১ শতার্শ ম্যাচ খেলেছেন নেইমার। যেখানে প্রতি মৌসুমে মাত্র ২৬টি ম্যাচ।
কাতালান ক্লাব থেকে নেইমারকে কিনতে পিএসজির বিশ্ব রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছিল। আর এই তিন মৌসুমের প্রতিটিতে তাকে ৩৭ মিলিয়ন করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ হিসেব করলে তিনি একেকটিতে পেয়েছেন ১৪ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি)! এমন করে ৮০ ম্যাচের জন্য পেয়েছেন ১১১ মিলিয়ন ইউরো।
অথচ ইনজুরির কারণে নেইমার চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। আর ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে পিএসজির মৌসুমে ১০০ দিন খেলতেই পারেননি। এছাড়া ২০১৭-১৮ মৌসুমে ৫৬ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন ৩০টিতে।
গত মৌসুমেও ইনজুরির কারণে ম্যানইউর বিপক্ষে খেলতে পারেননি। মৌসুমে ৮৮ দিনই মাঠের বাইরে ছিলেন। ৫৫ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন ২৮টিতে।
২০১৯ সালের জুনে ফের অ্যাঙ্কেলের ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। ফলে ২০১৯-২০ মৌসুমে তাকে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়। পরে ফিরলেও অক্টোবরে ফের চোটে পড়েন। সেই মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ২২টি খেলতে পেরেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এমএমএস