নাটকীয় ম্যাচে আতালান্তাকে হারিয়ে ২৫ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পা রেখেছে পিএসজি। ম্যাচে গোল না পেলেও একটা রেকর্ডে ঠিকই নাম লিখিয়েছেন ফরাসি জায়ান্টদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার বিপক্ষে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছেন নেইমার। কিন্তু সহজ দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করায় আরেকটু হলেই ভিলেন হতে যাচ্ছিলেন তিনি। ইনজুরি সময় পর্যন্ত তার দল ১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পেছনে তার ওই গোল মিসের বড় ভূমিকা ছিল। তবে সময়েমতো কাজের কাজটা ঠিকই করেছেন তিনি।
পিএসজির প্রথম গোল ও দ্বিতীয় গোলে ভূমিকা ছিল নেইমারের। প্রথমটি তো সরাসরি তার অ্যাসিস্ট থেকেই এসেছে। পরে শেষ তিন মিনিটের ঝড়ে আতালান্তার স্বপ্ন চুরমার করে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে টমাস টুখেলের দল। এই ম্যাচে ১৬টি ড্রিবলিং করেছেন নেইমার। ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে সমান ড্রিবলিং করে রেকর্ড গড়েছিলেন মেসি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে ১৬বার ড্রিবলিং করার রেকর্ড অবশ্য শুধু মেসি আর নেইমারের দখলেই নেই। এ দুজন ছাড়াও একই কীর্তি আছে ইন্টার মিলানের সাবেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার হাভিয়ের জানেত্তির।
আতালান্তা ম্যাচের পুরোটা সময় দাপটের সঙ্গে খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না পিএসজি। বরং ১ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর ছন্নছাড়া আক্রমণ মিলিয়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল। তবে ৮৯তম মিনিটে স্বদেশী মার্কিনিওসকে দিয়ে গোল করিয়ে বিপদের ঝুঁকি কমান নেইমার। এরপর এমবাপ্পের পাস থেকে জয়সূচক গোলটি করেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মতিং। এই গোলেও নেইমারের ভূমিকা ছিল। তার নিখুঁত পাস থেকেই গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। পরে ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন নেইমার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
এমএইচএম