লা লিগায় জয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। আর এটি সম্ভব হয়েছে আক্রমণভাগে মেসিদের দাপটে কারণে।
শনিবার ক্যাম্প ন্যুয়ে দাপুটে ফুটবল খেলেই এমন জয় তুলে নেয় রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। এনিয়ে লিগে চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল কাতালানরা। সেভিয়া ও আলাভেসের সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের মাঝে গেতাফের বিপক্ষে ১-০ ও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে এল ক্লাসিকোতে ৩-১ গোলে হেরেছিল দলটি।
খেলার ২২তম মিনিটে দেম্বেলের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। ডি-বক্সে ছোট এক ঝটকায় সামনের ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি উইঙ্গার।
তবে প্রথমার্ধের তিন মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে কিছুটা সৌভাগ্যসূচক গোলে সমতায় ফেরে বেতিস। ক্রিস্তিয়ান তেইয়োর ক্রস সের্হি রবের্তোর পায়ে লেগে দিক পাল্টে চলে যায় সানব্রিয়ার পায়ে। ১০ গজ দূর থেকে জালে বল পাঠাতে ভুল হয়নি বার্সেলোনার যুব দলে বেড়ে ওঠা প্যারাগুয়ের এই স্ট্রাইকারের।
বিরতির পর ৪৯তম মিনিটে জালের দেখা পান গ্রিজম্যান। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার পাস ধরতে গিয়ে ডামি করে ছেড়ে দেন মেসি, এগিয়ে গিয়ে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ব্রাভো। ফাঁকায় বল পেয়ে বিনা বাধায় দলকে আবারও এগিয়ে নেন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড।
এরপরেই দেম্বেলের শট গোললাইন থেকে হাত দিয়ে ফেরানোয় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বেতিস ডিফেন্ডার আইসা মান্দি। আর নিখুঁত স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান মেসি।
৭৩তম মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমায় বেতিস। বাঁ দিক থেকে আলেক্স মোরেনোর পাস ছোট ডি-বক্সের মুখে পেয়ে জালে বল ঠেলে দেন লরেন মোরোন। এখানেও ক্লেমোঁ লংলে ও জেরার্দ পিকের দুর্বল ডিফেন্ডিংয়ের দায় ছিল।
অবশেষে ৮২তম মিনিটে চলতি মৌসুমে পেনাল্টি ছাড়া নিজের প্রথম গোল করলেন মেসি। তার প্রথম ‘ওপেন প্লে’ গোলের দেখা মেলে। রবের্তোর ব্যাকহিলে বল ধরে ছোট ডি-বক্সে মুখ থেকে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন তারকা।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ডান দিক থেকে রবের্তোর ক্রস ফাঁকায় পেয়ে প্লেসিং শটে অনায়াসে স্কোরলাইনে লিগে প্রথম নিজের নাম লেখান পেদ্রি।
লিগে সাত ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠেছে বার্সেলোনা। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে সাত নম্বরে বেতিস। আট ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল সোসিয়েদাদ। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এমএমএস