ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

‘ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নিউজ করা মানে দেশের বিরুদ্ধে নিউজ করা’

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২১
‘ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নিউজ করা মানে দেশের বিরুদ্ধে নিউজ করা’

বাফুফের অর্থ লোপাটের অভিযোগ নতুন নয়। চলতি বছর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠে।

ফিফা অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে এ খবর চমকে দেওয়ার মতোই। কথা উঠেছে অডিট রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় বিশ্ব ফুটবল সংস্থার অভিভাবক ফিফা বাফুফের বাৎসরিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে।  

অনুদান হিসেবে প্রতি বছর সাড়ে ৪ লাখ ডলার পেয়ে থাকে ফেডারেশন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি টাকা। ফুটবল উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতে ফিফা এ অনুদান দিয়ে থাকে। তবে কোন কোন খাতে তা ব্যয় হলো তার হিসাব দিতে হয় ফিফার কাছে। হিসাব পাঠালেও ফিফা তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে চিঠির মাধ্যমে তা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা যায়।

ভবিষ্যতে তারা আর অনুদান দেবে কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়। সম্প্রতি এমন খবরে ক্রীড়াঙ্গন গরম হয়ে উঠে। চলতি বছরে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ফান্ড পায়নি এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। তবে বাফুফের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন।

এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে সংবাদ উপস্থাপন করে সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কোনো অধিকার তাদের নেই। ফুটবল ফেডারেশন আপনারও না, আমারও না। ফুটবল ফেডারেশন হলো দেশের। তাই ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নিউজ করা মানে দেশের বিরুদ্ধে নিউজ করা। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের যদি নিউজ করতে হয় তাহলে আপনারা আমার কাছে আসেন, ঘটনা শোনেন তারপর সংবাদ উপস্থাপন করতে পরেন। তথ্যগুলো সঠিক দেওয়া উচিত কারণ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সংবাদ করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশর নাম খারাপ হয়। ’ 

গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন কাজী সালাউদ্দিন। এদিকে বাফুফের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী জানান, বাফুফে গত জানুয়ারিতেও কিছুদিন আগে অনুদানের অর্থ পেয়েছে। প্রয়োজনে এর প্রমাণও আমরা দেখাতে পারব। অনুদান নিয়ে বাফুফের অর্থ কমিটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে এটা অনেকেই জানতেন। তাই কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে বলেছেন ফান্ড বন্ধ করে দিতে ভার্চুয়ালি আমাদের তলব করা হয়েছে। ফিফার তিন ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধির সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। তবে তারা কিছু গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছে এই যা। আমরা যেখানে ফিফার অডিট বিভাগের প্রশংসাপত্র পেয়েছি সেখানে ফান্ড বন্ধের ব্যাপারটি গুজব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।