শুরুতে কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও এখন তা কেটে গেছে। নেইমার-কাসেমিরোরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা আসর বয়কট করছেন না।
কোপা আমেরিকার এবারের আসর বসবে ব্রাজিলে। শুরু হওয়ার কথা রোববার (১৩ জুন) থেকে। কিন্তু এর আগে ফের দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। করোনায় বিপর্যস্ত ব্রাজিলে এই আসর বসা নিয়ে দেশটির সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের ফুটবলাররাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যার জেরে হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বিসিবির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ব্রাজিলের ফুটবলাররা আগেই জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ শেষে কোপা আমেরিকা নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া নয়, বরং অনলাইনে যৌথভাবে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন তারা। তারা প্রত্যেকেই এই মহামারির মধ্যে কোপা আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তবে তাদের ক্ষোভের বড় কারণ, আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।
তবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পুরো আসর বয়কট করবেন না বলেও জানিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। প্যারাগুয়েকে ২-০ গোলে হারানোর পর প্রকাশ্যে আসা নেইমারদের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন কারণে, সেটা মানবিকতা কিংবা পেশাগত আচরণ, কনমেবল যেভাবে কোপা আমেরিকা সামলাচ্ছে আমরা তাতে খুশি নই। আমরা পেশাদার ফুটবলার। ব্রাজিলের সবুজ-হলুদ জার্সিকে গৌরবান্বিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা জাতীয় দলকে কোনওদিন ফিরিয়ে দেব না। ’
যে ভাবে তাদের না জিজ্ঞাসা করে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া হল, তা নিয়ে ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার সভাপতি রোজারিও কাবোকলোর উপরে ক্ষুব্ধ ব্রাজিলের ফুটবলাররা। তবে গত রোববার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় কাবোকলোকে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে কোপা আয়োজনের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের বিভিন্ন আদালতে মামলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এসব মামলার শুনানি হবে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি লুইজ ফাক্স ১১ সদস্যের প্যানেল নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মামলা শুনবেন বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
গত ১ জুন কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশ হিসেবে আর্জেন্টিনার নাম বাদ দেয় সাউথ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। কারণ হিসেবে মেসির দেশের করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়। তারও আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে নাম কাটা যায় সহ-আয়োজক কলম্বিয়ার। তার বদলে আয়োজক বানানো হয় ব্রাজিলকে। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ এই ব্রাজিলেই। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৫ লাখ মানুষ করোনায় মারা গেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২১
এমএইচএম