প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ।
রিও দে জেনেরিওর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই লাতিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
ব্রাজিল সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত প্রথম একাদশ নিয়েই ফাইনালে মাঠে নিয়েছে। এমনকি তাদের বদলি ফুটবলারের তালিকাও অপরিবর্তিত। তবে আর্জেন্টিনা প্রথম একাদশে একসঙ্গে পাঁচটি রদবদল করেছে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে জেল্লা, গঞ্জালেস, মলিনা, তাগলিয়াফিকো ও রদ্রিগেসকে। প্রথম একাদশে ঢুকেছেন আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও দি মারিয়া।
আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশ:
এমিলিয়ানো মার্তিনেস, দি'পল, মেসি, ওতামেন্দি, লো সেলসো, মার্তিনেস এল, আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও দি মারিয়া।
ব্রাজিলের প্রথম একাদশ:
এদারসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকিনহোস, কাসোমিরো, রিচার্লিসন, ফ্রেদ, নেইমার, রেনান লোদি, লুকাস পাকুয়েতা ও এভারটন।
২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্যে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিজের তৃতীয় কোপা ফাইনালে মাঠে নেমেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে শিরোপা না জেতার আক্ষেপ ঘুচাতে। ৪ বার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল (২০১৮ বিশ্বকাপসহ) খেলেও কাঙ্ক্ষিত শিরোপা অধরা রয়ে গেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের। গত কোপার সেমিতে এই ব্রাজিলের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল তার দল।
১৯৯৩ সালে শেষবার কোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা, যা আবার টুর্নামেন্টে তার ১৪তম। একমাত্র উরুগুয়ে তাদের চেয়ে এগিয়ে (১৫টি)।
নিজ দেশের হয়ে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৪টি টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন লিও। ২০০৮ সালে অলিম্পিক জয়ী মেসি ২০১৫, ২০১৬ কোপা ও ২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে কোনো গোল করতে পারেননি। গত সেমিতেও একই অবস্থা। এবার কিন্তু মেসি দারুণ ফর্মে আছেন। নিজে করেছেন ৪টি গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৫টি। গোল্ডেন বুটের অন্যতম দাবিদারও তিনি।
অন্যদিকে ব্রাজিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে। গত আসরে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা। এবার কোপায় তাদের দশম শিরোপা জেতার লড়াই শুরু হয়েছে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী আর্জেন্টিনা, যারা করোনা মহামারির কারণে এবারের আসরের সহ-আয়োজক (অন্য দেশটি কলম্বিয়া) হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা পেয়ে যায় ব্রাজিল।
ব্রাজিলের সুপারস্টার ফুটবলার নেইমারের জন্য এটা বড় আসরের শিরোপা জেতার বড় সুযোগ। এর আগে ২০১৯ কোপায় ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি তার। ২০১৬ আসরেও অলিম্পিকে খেলার কারণে কোপা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে হয় তাকে। তবে সেবার অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার দলের সদস্য ছিলেন তিনি। আর ২০১৫ সালে খেললেও আসরের মাঝপথে নিষিদ্ধ হয়ে ছিটকে যান তিনি। ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম শিরোপা জেতার লড়াইয়ে নেমেছেন নেইমারও। আর সেই লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা ছাড়াও তার লড়াই হবে প্রিয় বন্ধু ও সাবেক বার্সা সতীর্থ মেসির সঙ্গেও। শেষ হাসি কে হাসবে?
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
এমএইচএম