এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের ডি গ্রুপে অলিখিত ফাইনালে ভারতের কলকাতার মোহনবাগানের বিপক্ষে ড্র করেছে বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে বাজে রেফারিং।
এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে কলকাতার ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বসুন্ধরা কিংস। ফলে নকআউট পর্বে উঠে যায় মোহনবাগান।
প্লে-অফে খেলতে হলে জয়ের প্রয়োজন ছিল কিংসের। সেই লক্ষ্যে তাদের শুরুটাও ভালোই হয়েছিল। দুর্দান্ত কিছু আক্রমণ করে বসুন্ধরা কিংস। গোলের দেখাও পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের ২৮তম মিনিটে গোল করে কিংসকে এগিয়ে দেন জনাথন ফার্নান্দেস। কিন্তু গোলটা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরা কোনো কারণ ছাড়াই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের অর্ধেক তখনও বাকি। তাকে এই লাল কার্ড দেখানো নিয়ে সোশ্যাল সাইটে চলছে সমালোচনা। ফুটবলপ্রেমীদের দাবি, সুশান্তকে লাল কার্ড দেখানো ছিল রেফারির পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অনেকটা লাফিয়ে বল আটকান সুশান্ত। এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে মোহনবাগানের সুভাষের সঙ্গে তার সংঘর্ষ ঘটে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে সুশান্তকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেন। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, সুশান্ত মোটেও কড়া চার্জ করেননি। তারপরেও লাল কার্ড দেখানোয় ফুটবলপ্রেমীরা বিস্মিত।
ম্যাচজুড়েই বাজে রেফারিংয়ের নমুনা দেখা গেছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে রবসনের হেড মোহনবাগানের এক ডিফেন্ডারের হাতে গিয়ে লাগে। রেফারির কাছে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে কিংস। কিন্তু রেফারি সাড়া দেননি।
মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ১০ জন নিয়ে খেলা খুবই কঠিন। তারপরেও রক্ষণ জমাট রেখে লড়ে যাচ্ছিল কিংসরা। ৬২তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। লিস্টনের পাসে গোলমুখ থেকে সহজ টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড উইলিয়াম।
এবারের মতো বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপ মিশন এখানেই শেষ হলেও গ্রুপ পর্বে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রদর্শন ঠিকই করেছে তারা। ৩ ম্যাচ খেলে কোনও ম্যাচেই নেই হার। ১ জয় আর ২ ড্র নিয়ে আসর শেষ করলো অস্কার ব্রুজোনের দল।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
এমএইচএম