স্মৃতিবিজড়িত সেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সারাদিন ছিল পর্তুগিজ এ তারকার দলবদলের নাটকীয়তা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনালদোর অভিষেক হয় ২০০৩ সালে। অভিষেকের পর থেকেই লাল জার্সিটায় দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে রেড ডেভিলদের ছেড়ে পাড়ি জমালেন স্পেনের সেরা দল রিয়াল মাদ্রিদে।
লস ব্লাঙ্কসদের হয়ে একের পর এক জিতলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ সহ লা লিগা শিরোপা। বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন হয়েই ২০১৮ সালে পাড়ি জমালেন তুরিনে। কিন্তু এখানে এসে ইতালির সেরা ফুটবলার হলেও ইউরোপে তার অর্জন ছিল খুবই কম। তা নিয়ে পর্তুগিজ এ তারকার আক্ষেপ থাকলেও ক্লাবটি নিয়ে অভিযোগ নেই তার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে জুভেন্টাসের প্রতি রোনালদোর ভালোবাসা ফুটে ওঠে। পুরনো ক্লাব ম্যানইউতে এসেও তার হৃদয় যেন পড়ে রয়েছে সেই তুরিনেই। তিনি বলেন, ‘আজ আমি চমৎকার একটি ক্লাব থেকে বিদায় নিলাম, যেটি ইতালির সবচেয়ে বড় আর ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর একটি। জুভেন্টাসের জন্য আমি সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছি এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তুরিন শহরটাকে ভালোবাসব। ’
‘জুভেন্টাস সমর্থকরা সবসময় আমাকে সম্মান করেছে এবং তাদের সম্মানের জবাবে আমি প্রতি ম্যাচে, মৌসুমে ও প্রতিযোগিতায় তাদের জন্য লড়েছি। পরিশেষে, আমরা পেছন ফিরে তাকিয়ে অনুধাবন করতে পারি যে, আমরা অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি, যা কিছু চেয়েছিলাম সবটা নয়; তবে সবাই মিলে দারুণ একটি গল্প লিখেছি। সবসময় আমি আপনাদের একজন হয়ে থাকব। এই ক্লাব এখন আমার ইতিহাসের একটা অধ্যায়, যেমনটা আমি নিজেকে এই দলের একজন মনে করি। ইতালি, জুভেন্টাস, জুভেন্টাসের সমর্থক-সবাই আমার হৃদয়ে থাকবে’- যোগ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
এমএমএস